টনসিল এর ঔষধ নাম কি ও দাম কত

কারো গলায় সমস্যা বা গলায় ব্যথা শুরু হলেই অনেকেই মনে করে থাকেন টনসিলের কথা। যদি আপনার গলায় ব্যাথা থাকে,তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে অ্যাডেনো ভাই*রাস,ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাই*রাস,এপস্টেইন-বার ভাই*রাস,প্যারা-ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি ভাই*রাস আপনাকে আক্রান্ত করেছে। নতুবা মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম,অতিরিক্ত ঠান্ডার মধ্যে রাত্রি জাগরন করার ফলে,গলায় ঠান্ডা লাগলে, বা অপুষ্টিতে ভুগলে টনসিল হওয়ার আশংকা থাকে। তবে এই রোগ অতি শীঘ্রই নিরাময় করা দরকার। এজন্য প্রত্যেকের টনসিল এর ঔষধ নাম জেনে রাখা উচিত। 

এমতাবস্থায় অনলাইনে অনেকেই টনসিলের ঔষধের নাম লিখে অনুসন্ধান করে থাকেন। তবে প্রত্যেকের ঔষধের নাম জেনে রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজের বা আশেপাশের মানুষদের এ সমস্যা মাঝে মাঝে হয়ে থাকে। অতঃপর যারা এই টনসিল এর ঔষধ নাম জানতে চান তারা এই পোস্ট প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এখানে বিভিন্ন কোম্পানির সহ ভালো মানের টনসিলের ঔষুধ এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

টনসিল এর ঔষধ নাম

এ টনসিলের কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। গলা ব্যথা হওয়া, গলার ভিতরে ফুলে যাওয়া,মুখ হা করলে ব্যথা পাওয়া ,কানে ব্যথা পাওয়া এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া,খাবারে অরুচি। অতঃপর মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়া,বমিবমি ভাব হওয়া.পেটে ব্যথা হওয়া,ঢোঁক গিলতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি টনসিলের লক্ষণ সমূহ। তবে এই টনসিল নিরাময় করার জন্য আপনার নিকটস্থ ফার্মেসিতে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট বা ঔষধ পেয়ে যাবেন।

তবে যারা এখানে বিভিন্ন ধরনের টনসিল এর ঔষধ নাম জানতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই জানতে পারবেন। যেমন টনসিলের জন্য ভালো উপশমকারি একটি ট্যাবলেটের নাম হচ্ছে রফিউক্লাব ২৫০ট্যাবলেট,ডেক্সিলেন্ড ৩০ ক্যাপসুল আরো ইত্যাদি। এছাড়া আরও বিভিন্ন ভালো মানের টনসিলের ট্যাবলেট করেছে। যেগুলোর নাম নিম্ন উল্লেখ করা হয়েছে। টনসিলের ওষুধের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি কখন এবং কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে টনসিল দূর করবেন তাও উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্ট বিস্তারিত করুন।

টনসিন হলে যে ওষুধ খাবেন

এই টনসিল হওয়ার বিভিন্ন লক্ষণ রয়েছে। যেগুলো থেকে একজন ব্যক্তি সাধারন ভাবে বুঝতে পারে যে তার টনসিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য প্রথমে অনলাইনে টনসিলের বিভিন্ন ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে চান। তবে আজকের আলোচনা মূল বিষয় হচ্ছে টনসিল এর ঔষধ নাম বিস্তারিত আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ টনসিল হলে কিভাবে ওষুধ গুলো খাবেন? আপনার যদি টনসিল হয়ে থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট এর মধ্যে এই ট্যাবলেট গুলো খেতে পারেন। ট্যাবলেট গুলো হচ্ছেঃ

  • রফিউক্লাব ২৫০ট্যাবলেট
  • ডেক্সিলেন্ড ৩০ ক্যাপসুল
  • এইচ এক্স আর ট্যাবলেট
  • ভিফাস  ট্যাবলেট
  • বায়োডিন মাউথ ওয়াশ
  • Moxacil ক্যাপসুল
  • Tridosil tablet

তবে বিশেষ সতর্কঃএই  ট্যাবলেট গুলো আপনারা অবশ্যই আপনার পরিচিত ডাক্তারদের থেকে পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। এবং আপনার সমস্যা অনুযায়ী ডাক্তার যে ট্যাবলেট গুলো আপনাকে প্রদান করবে সেগুলো নিয়ম অনুযায়ী সেবন করুন। আশা করা যায় আপনার টনসের দূর হয়ে যাবে।

টনসিলের ওষুধ গুলোর নাম কি কি

আপনার নিতে ফার্মেসিতে আপনি টনসিলের বিভিন্ন ওষুধ পাবেন। তবে ইতিমধ্যে অনেকগুলো টনসিলের ওষুধের নাম আমরা উল্লেখ করেছি। যে ঔষধ গুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত সেবন করলে সমস্যা আর থাকবে না এবং দূর হয়ে যাবে খুব দ্রুত।

  • আর কিছু ওষুধ রয়েছে তা হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। যেটা অনেক দ্রুত টনসিল কে সারাতে সাহায্য করে।
  • Tridosil tablet
  • এইচ এক্স আর ট্যাবলেট
  • ডেক্সিলেন্ড ৩০ ক্যাপসুল
  • ভিফাস  ট্যাবলেট
  • বায়োডিন মাউথ ওয়াশ
  • Moxacil ক্যাপসুল
  • রফিউক্লাব ২৫০ ট্যাবলেট
  • ডেক্সিলেন্ড ৩০ ক্যাপসুল

টনসিল এর ঔষধ দাম

এই টনসিলের ওষুধের দাম ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। কিছু টনসিলের ঔষধের দাম রয়েছে ২ টাকা আবার কিছু এন্টিবায়োটিক ওষুধের দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। যেমন টনসিল এর জন্য Tridosil tablet এই ট্যাবলেটের দাম ৩৫ টাকা। তবে মাঝে মাঝে এ ওষুধগুলোর দাম উঠা নামা করে থাকে।

ই ফিক্স ১০০ এম জি ট্যাবলেট

এটি একটি অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেটের কিছু বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা রয়েছে যা গলার ভিতরে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে হত্যা করতে সাহায্য করে। এই ইফিক্স ১০০ এম জি ব্রঙ্কাইটিস (ফুসফুসে বায়ু টিউব সংক্রমণ), গনোরিয়া (একটি যৌ*ন সংক্রামিত রোগ) এবং কান, গলা, টনসিল ইত্যাদি সংক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়।

তবে বিশেষ সতর্ক এই ওষুধগুলো অবশ্যই আপনার নিকটবর্তী ডাক্তারদের কাছ থেকে পরামর্শ যেনে ওষুধগুলো সেবন করবেন। নতুবা এই ট্যাবলেটের অনেক 500 প্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেগুলো আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

ছোট বাচ্চাদের টনসিলের ঔষধ

ছোট বাচ্চাদের অসুস্থতা খুব সেনসিটিভ একটি বিষয়। ছোট বাচ্চাদের যদি টনসিলের সমস্যা হয় তাহলে প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক অর্থাৎ ব্যথা-নাশক ওষুধ সেবন করতে হবে। না হয় ছোটদের জন্য এমোক্সিসিলিন ৫০ মিগ্রা খাওয়াতে হবে। সর্বপরি ছোটদের জন্য  ভালোভাবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে হবে। এই অসুস্থতা বেশিদিন শরীরে চেপে রাখলে বিভিন্ন রোগের সমস্যা হতে পারে।

টনসিল হলে যা খাওয়া যাবেনা

শরীরে অসুস্থতা থাকলে খাদ্য তালিকার পরিবর্তন অনিবার্য। না হলে রোগ শরীরে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাই খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে কিছু নির্দেশনা রয়েছে, যে খাবারগুলো কখনো খাওয়া উচিত নয়। নিষেধাজ্ঞা খাবারগুলি সেবন করলে এতে বিপরীত হতে পারে। অতএব যেসব খাবার টনসিল হলে খাওয়া যাবে না তা হচ্ছেঃ

  • টনসিল হলে ঠান্ডা যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। 
  • সকল ধরনের জাঙ্কফুড খাওয়া যাবে না। একদমি নিষিদ্ধ।
  • চিপস, চানাচুর, ফুচকা, চটপটি, কোমল পানীয় জাতীয় জাঙ্কফুড খাওয়া যাবে না।
  • অতিরিক্ত তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
  • মুলা, মিষ্টি আলু, চিনা বাদাম না খাওয়াই ভালো।
  • বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি এই জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।

টনসিল হলে যা যা করবেন

যাদের বর্তমানে টনসিলে সমস্যা হয়েছে। তাদের জন্য কিছু নির্দেশনা রয়েছে, এবং এর নির্দেশনা গুলো পালন করলে আপনার টনসিলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে আশা করা যায়। এবং কিছু খাদ্য তালিকায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে খাবারগুলো আপনার টনসিল কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে। যেমনঃ

ছোট বাচ্চাদের মধ্যে যদি কারোর টনসিলের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে প্রাথমিক চিকিৎসা অনুযায়ী শিশুকে মধুর সাথে গরম পানি মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এছাড়াও আপনি তুলসী পাতার রস আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এতে টনসিলের সমস্যা সমাধানে অনেকটা উপকার পাওয়া যায়। এর মধ্যে  টনসিল হলে যা করবেন তা হচ্ছে। বিভিন্ন ওষুধ সেবনের পর যদি টনসিল সমস্যা দূর না হয় তাহলে অবশ্যই খুব দ্রুত ডাক্তারের নিকট যোগাযোগ করুন।

এছাড়া এই সমস্যা সমাধানের সময় মধু, দই, ডিম ইত্যাদি এ সময় বেশি বেশি করে খেতে হবে।  কারণ এই খাদ্যগুলো প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আপনার শরীরের উৎপাদন করবে। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এরপর নারকেল তেল, লেবু এবং মধুর মিশ্রণের একটি সিরাপ ব্যবহার করুন। চাইলে আদা খেতে পারেন। 

টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা

ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা অনেকটা কার্যকর হয় মাঝে মাঝে। তবে ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই উচিত। তবে যারা ডাক্তারের কাছে যেতে চাচ্ছেন না, ঘরোয়া উপায় আপনার কাছ থেকে নিরাময় করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ঘরোয়া কিছু চিকিৎসা নিম্নে উপস্থাপন করেছি।  ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো ইতিমধ্যে উপরের টপিকে আলোচনা করা হয়েছে। 

এর মধ্যে অন্যতম টনসিল এর ঔষধ নাম বা ঘরোয়া চিকিৎসা গুলি হচ্ছে লেবু খাওয়া। লেবু অনেক উপকারী একটি সহায়ক প্রতিরোধীূ ঔষধ। এই লেবু আপনার শরীরের টক্সিন দূর করবে। তাই যদি আপনার গলায় টনসিলের ব্যাথা থাকে তাহলে লেবুর রস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। আশা করা যায় আপনার টনসিলের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি আদা,মধু,দুধ,দই,তুলসী পাতার রস ইত্যাদি খেতে পারেন।

শেষ কথা

আশা করছি আপনারা এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়ে নিয়েছেন এবং এখান থেকে আপনার রোগ নিরাময় বা টনসিল এর ঔষধ নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে সর্বোপরি আপনারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধগুলো সেবন করবেন। আপনার আশেপাশে যদি কারোর টনসিলের সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে এই পোস্ট তাদেরকে অবশ্যই শেয়ার করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ