গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ এর নাম কি ও দাম কত

এই সময় যে কোন ওষধ গ্রহন করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত তবে যদিও গর্ভাবস্থায় আপনার গ্যাস হয়ে থাকে তাহলে যে ওষুধ গুলো আপনার করা উচিত তা নিচে আপনাদের জন্য উল্লেখ করেছি। অর্থাৎ গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ হিসেবে কিভাবে খাওয়া উচিত এবং কোন কোন ট্যাবলেট খাওয়া উচিত তা এখানে উল্লেখ করেছি।

অর্থাৎ গর্ভাবস্থায় যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এই পোস্ট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। কেননা এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা দুর্বল থাকে। তাই গ্যাসের সমস্যা বেশিদিন শরীরে রাখা ঠিক হবে না। অতিসত্বর  ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে গ্যাসের সমস্যার দূর করা উচিত। তবে গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ কোনগুলি তা আমাদের এই পোস্ট থেকে জেনে নিন। শুধু তাই নয় এই ওষুধের দাম কত সে বিষয় ও এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব সম্পূর্ণ পোস্ট প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ

বিভিন্ন ডাক্তারগন গর্ভবতী মহিলাদেরকে বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণের সাথে ঘরোয়া উপায়ে এসব রোগ নিরাময় করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কেননা এ সময় ওষুধ গ্রহণ করা সন্তানের জন্য অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। অনেকে বিভিন্ন রকম ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন এই গর্ভাবস্থায়, এতে একজন গর্ভবতী মহিলার জন্য অনেকটা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।

এমনকি গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ বেশি খেলে পেট ফাঁপা সহ অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষণীয় হয়। নিচে কয়েকটি গর্ভাবস্থায় কোন গ্যাসের ট্যাবলেট বা ওষুধ খেতে হবে তার তালিকা উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব তালিকা গুলো জানতে একটু নিচে প্রবেশ করুন। 

গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ কোনটি

একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য গ্যাসের ওষুধ হিসেবে বিভিন্ন ট্যাবলেট রয়েছে। যে ট্যাবলেট গুলো বিভিন্ন কোম্পানি তৈরি। তবে প্রত্যেকটি ওষুধের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য এবং গুণ রয়েছে। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়ের জন্য এই ট্যাবলেট গুলো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। খুব সাবধানতার সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী  এ ওষুধগুলো গ্রহণ করতে হবে। নিচে কয়েকটি গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ এর নাম উল্লেখ করা হলো।

  • Omeprazole
  • লোসেকটিল
  • Esomeprazole
  • Maxpro
  • Sergel
  • কোসেক
  • Rabeprazole
  • Lansoprazole
  • Ranitidine

গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের ঔষধের নাম

সকল গর্ভবতী মায়েদের জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। গর্ভাবস্থায় যেকোনো ধরনের ওষুধ সেবন করার পূর্বে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের গ্যাসের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এ কারণে অনেকেই গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের নাম কি তা জানতে চায়। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন গ্রুপের গ্যাসের ওষুধের নাম পরামর্শ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হচ্ছে ওমিপ্রাজল, লোকসেকটিল, ম্যাক্স প্রো, সার্জেল ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থায় কি প্যানটোনিক্স খাওয়া যাবে

গর্ভাবস্থায় শরীরের হরমোন পরিবর্তন লক্ষণীয় হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন রকম রোগের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তবে এ রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে অনেক এলোপাতাড়ি ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন বিভিন্ন রোগী। আর এই ওষুধগুলো গ্রহণ করার ফলে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। তবে আপনার যদি গর্ব অবস্থায় গ্যাস হয়ে থাকে তাহলে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ হিসেবে প্যান্টোনিক্স খেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে এখানে আলোচনা করেছি।

অর্থাৎ আপনি গর্ভাবস্থায় প্যানটোনিক্স ওষুধ খেতে পারবেন। তবে আপনাকে একজন আর চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এ ট্যাবলেট গ্রহণ করতে হবে। গ্যাসের ওষুধ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট পাওয়া যায়। যেগুলো কাজ ধরন এবং বৈশিষ্ট্য গুলো আলাদা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় প্যানটোনিক্স খেতে পারবেন তবে এ ওষুধের সুবিধা এবং ঝুঁকি গুলো নিয়ে আলোচনা করে ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।

গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ এর দাম কত

এই গর্ভবতী মায়েদের জন্য বিভিন্ন গ্যাসের ওষুধ পাওয়া যায়।তবে এই বিভিন্ন ওষুধগুলোর দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য গ্যাসের ওষুধ সর্বনিম্ন ৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ প্রায় ৯ টাকা থেকে ১০ টাকা। তবে কিছু কিছু ঔষধ এর দাম অনেকটা বেশি এবং কম হয়ে থাকে।

গর্ভবতী অবস্থায় গ্যাসের ঔষধ খাওয়া যাবে কি

আপনি গর্ভবতী অবস্থায় গ্যাসের ট্যাবলেট খেতে পারবেন। এমনকি  আপনার গর্ব অবস্থায় ৭ মাস সময়ে আপনি গ্যাসের ট্যাবলেট খেতে পারবেন। অর্থাৎ যে গ্যাসের ট্যাবলেট গুলো খেতে পারবেন নিচে সেই গ্যাসের ট্যাবলেট এর নাম উল্লেখ করতে যাচ্ছি। তবে এই ওষুধগুলো কখন এবং কিভাবে গ্রহণ করবেন তা অবশ্যই আপনার পরিচিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। তবে যে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধগুলো শুধুমাত্র খেতে পারবেন তা নিচে উল্লেখ করেছি।

  • ওমিপ্রাজল
  • সেকলো
  • লোসেকটিল
  • পিপিআই
  • জেলড্রিন
  • ওমিক্রন
  • ওপি
  • কোসেক
  • ওমেপ

৭ মাস গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়া যাবে কি

এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ আপনি ৭ মাস অবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে পারবেন। তবে আপনার জন্য ওমিপ্রাজল গ্রুপের যেকোনো একটি গ্যাসের ট্যাবলেট খেতে পারেন। তবে সর্বোপরি আপনার আশেপাশের অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শের বিকল্প কিছু নেই।

তবে এ সময় আপনি পানি বেশি বেশি খেতে পারেন। তবে এই ৭ মাস গর্ব অবস্থায় সময়ে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। তাদের অবশ্যই নিয়ম করে খাওয়া-দাওয়া করা উচিত। তবে সময় আয়রন গুলি ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে সাধারণভাবে গ্যাস হয়ে থাকে। অতএব এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

গর্ভকালীন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কেন হয় এবং কিভাবে দূর করবেন

আপনার গর্ভকালীন সময়ে একটু অসতর্কতার কারণে হতে পারে বড় ধরনের বিপদ। কেননা এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণের ফলে আপনার নানা রকম সমস্যা হতে পারে। এমনকি আপনার সন্তানের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি হতে পারে।

কারণ এই সময় যে ওষুধ গ্রহণ করুন না কেন এতে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লক্ষণীয় হতে পারে। তবে যাদের গর্ভকালীন সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে গিয়েছে। এবং দূর করতে চাচ্ছেন, তাহলে কিভাবে দূর করবেন তা নিয়ে নিচে আলোচনা করেছি। অতএব নিচের আলোচনা লক্ষ্য করুন।

  • আপনার গর্ভকালীন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে  বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ করে দূর করতে পারেন।
  • দ্বিতীয়ত ঘরোয়া কিছু উপায় আপনি অবলম্বন করতে পারেন। আর এই ঘরোয়া উপায় আপনার জন্য সঠিক পদ্ধতি হতে পারে।
  • বেশি বেশি  এবং পরিমাণমতো পানি গ্রহণ করুন।
  • আঁশযুক্ত খাবার খান।
  • যখন খাবার গ্রহণ করবেন পরিমাণে অল্প খাবেন কিন্তু বারবার খাবেন।
  • মেথি দানা খান।
  • উষ্ণ জল পান করুন
  • ভেষজ চা পান করুন।
  • ধনে ব্যবহার করুন।
  • ডাটা খেতে পারেন।
  • আরামদায়ক পোশাক পড়ুন।
  • হালকা যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
  • ভাজা খাবার খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনুন।
  • পরিশোধিত চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

গর্ভবতী মায়ের গ্যাস হলে করণীয়

এ সময় যত কম সম্ভব ওষুধ গ্রহণ করা উচিত। ওষুধের বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকার ফলে নানারকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তবে সবসময় চেষ্টা করবেন কোন সমস্যা দেখা দিলে প্রাকৃতিকভাবে সেটা দূর করার। এমতাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের গ্যাস হলে কি করণীয় তা অনেকে অনলাইনে জানতে অনুসন্ধান করে থাকেন। তাহলে চলুন গর্ভবতী মায়ের গ্যাস হলে কি করণীয় থাকতে পারে। অতএব নিচে তা উল্লেখ করা হলো।

  • যেমন অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, ঝাল, মসলা-জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। যতটা সম্ভব এসব খাবার গ্রহণ করা উচিত।
  • এমনকি বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ওষুধ হিসেবে তরল অথবা ট্যাবলেট আকারে বাজারে যে অ্যান্টাসিড পাওয়া যায়,তা খাওয়া যাবে। গ্যাসের অন্যান্য ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে খেতে হবে। 
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পানি ও আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া
  • যেসব খাবারে গ্যাস হয় সেগুলো এড়িয়ে চলা
  • পেটে বাতাস ঢোকা কমাতে ধীরে-সুস্থে খাওয়া
  • একেবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে খাওয়া
  • দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা
  • আপনার পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এতে আপনার গ্যাস অনেক অংশ দূর হয়ে যাবে।
  • খুব বেশি গ্যাসের সমস্যা হলে অতি শীঘ্রই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

শেষ কথা

গর্ভাবস্থায় গ্যাসের সমস্যা থেকে শরীরে নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকি সন্তানের জন্য  অনেকটা ঝুঁকি হতে পারে। তবে গ্যাস কমানোর জন্য কি কি গ্যাসের ওষুধ খেতে হবে তা নিয়ে আজকে বিস্তারিত ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। আশা করছি আমাদের এই পোস্ট পড়ে আপনারা অনেকটা উপকৃত হয়েছেন। অর্থাৎ গর্ভবতী মায়ের গ্যাসের ঔষধ আপনাদের কি বিস্তারিত  ভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। অতএব আপনার আশেপাশে গর্ভবতী মহিলাদেরকে এই পোস্ট শেয়ার করে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ