বুকের কফ বের করার ঔষধ এর নাম ও দাম

যাদের ঠান্ডা,সর্দি কাশি ও জর সেরে উঠার পরেও কফ থেকে যায়। তাদের জন্য আজকের আলোচনা থাকছে বুকের কফ বের করার ঔষধ নাম। বর্তমানে যাদের বুকে কফ জমে রয়েছে তাদের জন্য আশা করি আজকের এই পোস্ট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। বিভিন্ন কারণে বুকের ভিতর কফ জমে থেকে যায়। যা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা সহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। এবং ধীরে ধীরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। এছাড়াও এই বুকের বৃদ্ধির ফলে নিউমোনিয়ার মত সংক্রমণ হতে পারে।

তাই যারা বুঝতে পারছেন যে আপনার বুকে কফ জমে গিয়েছে, এবং তা অতি দ্রুত বুকের কফ বের করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আলোচনায় বুকের কফ বের করার ঔষধ নাম নাম উল্লেখ করেছি। এছাড়া আজকের আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারবেন বুকের কফ বের করার জন্য কোন ওষুধটি সবথেকে ভালো। এছাড়াও এই বুকের কফ বের করা ওষুধের দাম কত টাকা। অতএব ঘরোয়া উপায় সহ বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের এই পোস্ট প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

বুকের কফ বের করার ঔষধ নাম

শ্বাসকষ্ট,গলা ব্যথা, বুক ভারী হয়ে যাওয়া, এমনকি কক সৃষ্টিকারী কাশি হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে আপনার বুঝতে হবে যে আপনার বুকে অনেকটুকু কফ জমা রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে এই কফ বুকে জমা হয়ে থাকলে তা আপনার শরীরের জন্য অনেকটা ক্ষতিকর হতে পারে। ওষুধ সেবনের মাধ্যমে বুকের কফ নিমিষেই দূর করা যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন বুকের কফ বের করার ঔষধ এর নাম কি?

অতিরিক্ত কফ জমা হলে ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। আর শরীরকে সুস্থ এবং সুবল রাখতে ফুসফুসের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ফুসফুসের আরও জটিলতার প্রবণতা তৈরি হওয়ার পূর্বে ডাক্তারের নিকট যোগাযোগ করুন এবং বুকের কফ বের করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।

বুকের কফ কেন হয়?

ঋতু পরিবর্তন বা অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে আমাদের ঠান্ডা লেগে থাকে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে আমাদের কাশি হয়। এই কাশি হতেই বুকে কফ জমা হয়ে থাকে। বুকে অতিরিক্ত মাত্রায় কখন জমা হলে শ্বাস-প্রশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয় যার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়ে থাকে। এ কারণে অবশ্যই আমাদেরকে ঠান্ডার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। বুকে কফ জমা বাধার সাথে সাথে আমাদেরকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট ঔষধ নাম

আপনার বুকে যদি দীর্ঘদিন ধরে কফ জমে থাকে তাহলে নিচের দেয়া উল্লিখিত ওষুধগুলো খেতে পারেন। এখানে এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সম্পূর্ণ করা হয়েছে। তবে এই ওষুধ গ্রহণ করা পরবে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। আমরা শুধু এখানে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হলে কোন ওষুধ গুলো খেতে হবে বা খাওয়া যায়।

তবে এর মধ্যে অন্যতম একটি ওষুধ হচ্ছে Tusca Plus – তুস্কা প্লাস।  এছাড়া আরও একটি ওষুধ হচ্ছে Adovas – অ্যাডোভাস।  তবে এই ওষুধগুলো নিয়ে নিচে আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। অতঃপর এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত দেখু*ন।

বুকে কফ জমে থাকার লক্ষণ

যদি কোন রোগ বাসা বাঁধার পূর্বে কিছুটা লক্ষণীয় হয়। তবে আবার এমন কিছু প্রাণভাতী রোগ রয়েছে যা একজন রোগী সে রোগ সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারেন না। তবে এখানে বুকে কফ জমে থাকলে যে লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝবেন আপনার বুকে কফ জমে রয়েছে। আর এই তথ্যগুলো জেনে রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ কোন রোগ দীর্ঘায়ু হওয়ার পূর্বেই এটি নির্ণয় করা ও নিরাময় জরুরী। না হলে পরবর্তীতে এই রোগ প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। তাহলে জেনে নেই কোন লক্ষণ গুলো দেখলে আমরা বুঝতে পারব বুকে কফ জমে রয়েছে। সে লক্ষণ গুলি হচ্ছে:

  • অসুস্থ ব্যক্তির নাক দিয়ে অনবরত শ্লেষ্মা বার হওয়া।
  • শুয়ে থাকার সময় নাকের পিছন থেকে গলায় শ্লেষ্মা ক্ষরণ।
  • অনবরত সশব্দে গলা ঝাড়া এবং গলা পরিস্কার করার একটা ইচ্ছা।
  • এমনকি সেই ব্যক্তির শ্বাসের কষ্ট হওয়া।
  • সাঁ সাঁ করে বা শব্দ করে নিঃশ্বাস ফেলা।
  • প্রথমের দিক দিয়ে জ্বর থাকা।
  • এছাড়াও শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া।
  • মাঝেমাঝে বমি বমি ভাব।
  • এমনকি এই কফ জমার কারণে মারাত্মক বমি করা।
  • পেট থেকে শুরু করে বুকের পর্যন্ত জ্বলন বা বুকে ব্যথা।
  • গলার আওয়াজের কর্কশতা।

শুষ্ক কফ দূর করার উপায়

বর্তমানে এসব রোগের লক্ষণ মারাত্মক হিসেবে ধরা হয়। তাই সবসময় সাবধানে থাকার চেষ্টা করবেন। তবে যাদের ইতিমধ্যে শুষ্ক কফ রয়েছে তারা অতি দ্রুত দূর করে নিন। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন। তবে কিভাবে আপনি শুষ্ক কফ দূর করবেন তার উপায় গুলোর নিচে উল্লেখ করেছি। আপনি চাইলে আপনার শুষ্ক কফ দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন।

তাই এই কফ নিরামি করতে আপনি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে কোন ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। তবে ইতিমধ্যে ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ঔষধের নাম উপরে এবং নিচে উল্লেখ করেছি। এখন শুধু আপনাদেরকে জানাবো ঘরোয়া উপায় সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা। আপনি বাড়িতে বসে আপনার শুষ্ক কফ  দূর করার জন্য আদা, তুলসী পাতা, রসুন, মসলা চা ইত্যাদি পরিমান মত নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করতে পারেন।

এছাড়া গরম স্যুপ, মসলা পানি ও হার্বাল ইত্যাদি আপনি বারবার শুষ্ক কাশি নিরাময় করতে খেতে পারেন। এবং লবণ পানি দিয়ে আপনি বারবার গড়গড়া কুলি করতে পারেন। এবং গরম পানির ভাব নিতে পারেন। এটি অনেকটা উপকারী একটি প্রক্রিয়া। অতঃপর এই প্রক্রিয়া আপনি নিয়ম অনুযায়ী গ্রহণ করুন। আশা করা যায় আপনার শুষ্ক কফ অনায়াসে খুব দ্রুত দূর হয়ে যাবে।

বুকের কফ বের করার অ্যালকফ কফজেল ট্যাবলেট

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস এবং ফুসফুস সুস্থ রাখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকদিন পর্যন্ত বুকে কফ জমে থাকলে ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। পরবর্তীতে এই ফুসফুসের সমস্যা থেকে আপনার শরীরে নানা রকম জটিলতা লক্ষণীয় হতে পারে। তবে বুকে কফ জমে থাকলে তা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।  সঠিক চিকিৎসা এবং সঠিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করলেই এই বুকের কফ এক নিমিষে দূর করা যায়।

এ বুকের কফ দূর করার জন্য রয়েছে অ্যালকফ কফজেল ট্যাবলেট। তবে এই ট্যাবলেট রোগীদেরকে প্রদান করা হয় শুকনো কাশি থাকার ফলে। এ ছাড়া বুকের কফ বের করার জন্য এই অ্যালকফ কফজেল ট্যাবলেট ট্যাবলেট রোগীদের কে প্রদান করা হয়।

শিশুর বুকের কফ বের করার ওষুধ নাম

বড়দের তুলনায় শিশুদের ঠান্ডা বেশি লেগে থাকে। যার কারণে ঠান্ডা হতে শিশুদের বুকে কফ আটকে যেতে পারে। এই সময় শিশুদের শ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়ে থাকে। আপনার সে সূর্য যদি ঠান্ডা লেগে থাকে তাহলে অতি দ্রুত একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডক্টরের শিশুদের জন্য অ্যালকফ কফজেল পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেকে ইন্টারনেটে শিশুর বুকের বের করার ঔষধ নাম কি তা খুলতে থাকে। তাদেরকে জানাতে চাই যে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার শিশুর চিকিৎসা নিবেন।

কোন ট্যাবলেট খেলে বুকের কফ বের হয়

আপনার বুকে কফ জমতে পারে আপনার শরীরে থাকা তীব্র ঠান্ডার কারণে,ফুসফুসে ধুলাবালি প্রবেশ করার কারণে। এছাড়াও শীতের শুরুতে অনেকের শরীরে সর্দি-কাশি, বুকে কফ বা শ্লেষ্মা জমার সমস্যা দেখা যায়। যার পরবর্তীতে তবে ছোট বড় সকলের ক্ষেত্রেই এ বুকে কফ জমতে পারে। এজন্য সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত।

তবে এই কফ জমে থাকা বুকের কফ ঘরোয়া উপায় সহ বিভিন্ন ঔষধ গ্রহণ করার ফলে এক নিমিষে দূর করানো সম্ভব হয়। যারা ঘরোয়া উপায়ে ঠিক না করে বিভিন্ন ট্যাবলেট খেতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য নিচে বুকের কফ বের করার ঔষধ নাম এর পাশাপাশি কয়েকটি ট্যাবলেটের নাম আমরা উল্লেখ করতে যাচ্ছি। যা গ্রহণ করলে আপনার বুকে জমে থাকা খুব সহজে দূর হয়ে যাবে।

  • অ্যালকফ কফজেল ট্যাবলেট।
  • মিউকোলিড ট্যবলেট।

বুকের কফ বের করার ঔষধ এর দাম কত

এই ওষুধ গুলোর দাম অন্যান্য ঔষধর থেকে স্বাভাবিক। সর্বনিম্ন ৫০ টাকায় একটি বুকের কফ বের করার সিরাপ পেয়ে যাবেন। এবং কার্যকরী ওষুধ গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ প্রায় ৮০ টাকা দিয়ে আপনার বুকের কফ বের করা ঔষধ ক্রয় করতে পারবেন। যেমন তুসকা প্লাস ৮০ টাকা। Adovas ১০০ মিলি ৬৫ টাকা। এবং অ্যাসকোরেল ১০০ মিলি ৮০ টাকা। 

বুকের কফ বের করার সিরাপ 

তবে ডাক্তাররা রোগীদের বুকের কফ বের করার জন্য ট্যাবলেটের পাশাপাশি সবথেকে বেশি সিরাপ দিয়ে থাকেন। আর এই সিরাপ অনেক বেশি উপকারী। আপনি চাইলে আপনার নিকটস্থ যে কোন ডাক্তারের নিকট পরামর্শ গ্রহণ করে ভালো মানের সিরাপ গ্রহণ করতে পারেন। তবে কোন সিরাপ গ্রহণ করলে আপনার বুকের কফ খুব সহজে বের হয়ে যাবে তা নিচে উল্লেখ করতে যাচ্ছি।

  • রিকফ
  • এমব্রক্স
  • মুকোসপেল
  • Askorel
  • Ocof
  • Adovas
  • Tusca Plus

এই প্রত্যেক ঔষধ গ্রহণ করার পূর্বে আপনার ডাক্তারের নিকট পরামর্শ গ্রহণ করবেন। এবং কিভাবে গ্রহণ করতে হবে তার ব্যবহারবিধি অবশ্যই জেনে নিবেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অনিয়মিত এ সিরাপ গুলো গ্রহণ করবেন না। তবে একটু নিচে প্রবেশ করে বুকের কব বের করার ওষুধ গুলোর খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন।

বুকের কফ বের করার ঔষধ খাওয়ার নিয়ম

ছোটদের জন্য এ বুকের কফ বের করার ওষুধ খাওয়ার নিয়ম এক নিয়ম হবে। এবং বড়দের জন্য বুকের বের করার নিয়ম ভাবে অন্যরকম। তবে যারা বুকের কফ বের করার জন্য তুসকা প্লাস সিরাপ গ্রহণ করছেন। সে ক্ষেত্রে এই ওষুধ সিরাপ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে ১০০ মিলি দিনে তিন বেলা দুই চামচ করে খেতে হবে।

তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করবেন। অর্থাৎ এই সকল বুকের কফ বের করার সিরাপ রয়েছে প্রত্যেকটি দিনে ৩ বেলা ২ চামচ করে খেতে হবে। তবে অবশ্যই আপনার শরীরের অবস্থা ডাক্তারকে জানিয়ে ওষুধ সেবন করুন।

বুকের কফ বের করার ঔষধ ঘরোয়া উপায়

বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ করার পাশাপাশি আপনার এ বুকের কফ ঘরোয়া উপায় বের করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি আপনাকে অবলম্বন করতে হবে। অতএব যেসব উপায় অবলম্বন করলে আপনি আপনার বুকের কফ ঘরোয়া উপায় বের করতে পারবেন। নিম্যে বুকের কফ বের করার ঔষধ নাম সহ ঘড়োয়া উপায় গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আশা করছি নিচে দেওয়া উপায় গুলো সঠিকভাবে অবলম্বন এবং পালন করলে আপনার বুকের কফ বের করতে পারবেন।

  • মধু

যদি বুকে কফ জমে থাকে তাহলে মধু খেতে পারেন। আর আমরা সকলে জানি মধু হচ্ছে সকল রোগের মহাঔষধ। নিয়ম করে কয়েকবার মধু খেতে পারেন।

  • তুলসী পাতা

মধু এবং তুলসী পাতার রস একসাথে মিশিয়ে নিন। অতঃপর খেয়ে ফেলুন। আর বুকের কফ দূর করতে মধু এবং তুলসী পাতা অনেক বেশি উপকারী। এটি চাইলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

  • আদা

এই আধা কে দিনে দুই থেকে তিনবার কুচি করে কেটে নুন দিয়ে মিশেক গ্রহণ করুন। আশা করা যায় আপনার কফ দূর হয়ে যাবে।

  • কাঁচা হলুদ

বুকের কফ দূর করতে কাঁচা হলুদ অনেক উপকারী। সামান্য পরিমাণ কাঁচা হলুদের রস সংগ্রহ করুন। অতঃপর গরম পানিতে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে গার্গেল করুন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য কাশি এবং সর্দি নিরাময়ে সহায়তা করে।

  • মধু এবং গরম পানি

সকলে জানি বুকের কফ বের করার জন্য অনেক বেশি কার্যকরী হচ্ছে মধু এবং গরম পানি। গরম পানির মধ্যে মধু মিশিয়ে নিন অথবা মধু সাথে গরম পানি একটু জাল করুন। পরবর্তীতে এই মিশ্রণটি গ্রহণ করুন। আশা করা যায় আপনার বুকের বের হয়ে আসবে।

  • নুন এবং পানি

বুকের কফ বের করতে নুন এবং পানি একসাথে মিশিয়ে খেলে অনেকটা সাহায্য এবং উপশম হয়। শ্বাসযন্ত্র থেকে খুব সহজেই কফ বের করতে সাহায্য করে। চাইলে খেয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

  • পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন

পেঁয়াজের রসের সাথে মধু এবং পানি একসাথে মিশিয়ে অনেকক্ষণ গরম করুন। পরবর্তীতে হালকা ঠান্ডা হলে পরিমাণমতো গ্রহণ করুন। আশা করা যায় আপনার বুকের কফ দ্রুত সেরে যাবে

বুকের কফ বের করার ঔষধ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

থেকে ওষুধের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। যেগুলোর অনিয়মিত সেবনে শরীরে বিভিন্ন রোগের তৈরি হয়। তাই যে কোন ওষুধ গ্রহণ করার পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত। অতএব যদি বুকের কফ বের করার ওষুধ খেতে চান তাহলে ডাক্তারের সাথে আপনার কফ কেমন এবং আপনার শরীরের অবস্থা ডাক্তার জানিয়ে ঔষধ গ্রহন করুন। তবে যাদের বুকের কফ করার ওষুধ গ্রহণ করার ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়,সেই সব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

  • পেট খারাপ
  • অস্থির অনুভূতি
  • উদ্বেগ
  • স্নায়ুবিকতা
  • বিভ্রান্তি
  • হ্যালুসিনেশন

শেষ কথা

অনেকের বুকে ঠান্ডার পর কফ জমে যায়। যাতে খুব সহজে সেই বুকের কফ দূর করা যায়, সেজন্য আমরা ইতিমধ্যে আজকের আলোচনায় বুকের কফ বের করার ঔষধ নাম উল্লেখ করেছি। যে ওষুধগুলোর নাম ইতিমধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। তা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করুন। আশা করা যায় আপনার বুকের কফ খুব সহজে বের হয়ে যাবে। আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে নিয়েছেন এবং সম্পর্কিত হয়েছেন। যদি এই পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার আশেপাশের ব্যক্তিদেরকে এই পোস্ট শেয়ার করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ