কৃমি মানব দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। ছোট শিশু থেকে শুরু করে সকল ধরনের বয়সের মানবদেহের এই কৃমির আবির্ভাব লক্ষ্য করা যায়। তবে এই কৃমি বেঁচে থাকতে অবশ্যই ভালো ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। তাই আজকের আলোচনার মূল বিষয় হচ্ছে কৃমির সকল ওষুধ নিয়ে। অর্থাৎ কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো আজকে আলোচনা মূল বিষয় থাকছে।
অতঃপর যাদের শরীরে কৃমির আবির্ভাব দেখা দিচ্ছে তারা আমাদের এই পোস্ট সম্পূর্ণ দেখে নিন এবং কৃমি দূর করার ওষুধের নাম জেনে নিন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে কৃমির বিভিন্ন ওষুধের নাম সহ খাওয়ার নিয়ম এবং এই ওষুধ খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অতএব বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন ঔষুধের মধ্যে শরীরের এই কৃমিকে দূর করতে কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো জেনে নিন।
কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো
আমাদের শরীরে কয়েক প্রকারের কৃমির আবির্ভাব দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে ক্লিকগুলো হচ্ছে বক্র কৃমি,কেঁচো কৃমি,এবং সুতা কৃমি। তবে প্রত্যেকটি কৃমি আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই এই কৃমি থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এবং ভালো মানে ওষুধ সেবন করতে হবে। অতএব এই কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো তা নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। এ পোস্ট থেকে আপনি জানতে পারবেন কৃমির কোন ওষুধ খেলে আপনি খুব দ্রুত এ থেকে মুক্তি পাবেন। আর এসব ওষুধের নাম নিচে উল্লেখ করেছি। অতএব সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কৃমি কত প্রকার
কয়েক প্রকারের কৃমি আমাদের শরীরে বাস করতে পারে। আর এসব প্রত্যেক কৃমি আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করে। তাই এসব কৃমি থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কয়েক প্রকারের কৃমি হচ্ছেঃ
- বক্র কৃমি
- কেঁচো কৃমি
- এবং সুতা কৃমি
- গোলকৃমি
- ফিতাকৃমি
- ওপিসথর্কি
- স্থূলকোষ কৃমি বিশেষ আরো ইত্যাদি
কৃমির বিভিন্ন ওষুধের নাম
আপনি ডাক্তারের দোকানে গেলে ডাক্তার আপনাকে বিভিন্ন কৃমির ঔষধ সম্পর্কে জানিয়ে দেবে। তবে আপনাকে কষ্ট করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। এবং ডাক্তারের কাছ থেকে কোন পরামর্শ নিতে হবে না। এখানে আমরা পরামর্শ সহ বিভিন্ন ওষুধের নাম উল্লেখ করেছি। যেগুলো গ্রহণ করলে আপনি খুব দ্রুতই নিজেকে মুক্তি পেতে পারবেন। সে বিভিন্ন কৃমিরনাশক ওষুধের নাম গুলো হচ্ছেঃ
- এ্যালমেক্স ট্যাবলেট
- এ্যালবেনডাজল ৪০০ মি.গ্রা.
- প্রাজিকোয়েন্টেল
- লেভামিসোল
- আইভারমেকটিন
উপরোক্ত ওষুধ গুলো খুবই কার্যকরী, এজন্য সাধারণত ডাক্তার রোগীদের কে এসব ওষুধ প্রদান করে থাকেন। তবে এখানে থেকে যদি ওষুধের নাম জেনে নিয়ে ওষুধ খেতে চান তবে খেতে পারবেন। তবে বিশেষ সতর্ক হচ্ছে এই ওষুধের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। যেগুলো আপনি হয়তো বুঝতে পারবেন না। এজন্য এ ওষুধগুলো গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
সেরা ১০ টি কৃমির ঔষধের নাম
আপনি আপনার নিকটস্থ ফার্মেসির দোকানে অনেকগুলো কৃমির ওষুধের সম্পর্কে জানতে পারবেন। যে ওষুধগুলো একজন ডাক্তার বিভিন্ন রোগীকে বিভিন্নভাবে প্রদান করে থাকেন। কৃমির ধরন অনুযায়ী ডাক্তার রোগীদেরকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রদান করে থাকেন। তবে এর মধ্যে যে ১০ টি ওষুধ সব থেকে ভালো তা এখানে উল্লেখ করেছি। অতএব সেরা ১০ টি কৃমির ঔষধের নাম দেখে নিন।
- এ্যালমেক্স ট্যাবলেট
- এ্যালবেনডাজল ৪০০ মি.গ্রা.
- লেভামিসোল
- জাইবেন্ড ৪০০ এম জি ট্যাবলেট
- প্রাজিকোয়েন্টেল
- আইভারমেকটিন
- এস্টাজল ট্যাবলেট
- জেন্টেল ৪০০ এম জি ট্যাবলেট
- নোওর্ম ৪০০ এম জি ট্যাবলেট
- জেলবেন্ড ৪০০ এম জি ট্যাবলেট অ্যালব্যাক্সি ৪০০ এম জি ট্যাবলেট
কৃমির রোগের লক্ষণ গুলো কি কি
আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগবালাই থেকে থাকে। তবে প্রত্যেক রোগ বালাই এর পূর্বে কিছু না কিছু উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে। ঠিক তেমনি আপনার শরীরে যদি কৃমির আবির্ভাব হয় তবে কিছু লক্ষণ আপনার শরীরে দেখা দিবে। যেগুলো দেখলেই আপনি হয়তো বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে কৃমির আবির্ভাব হয়েছে। তো চলুন কোন লক্ষণ গুলি প্রকাশ পেলে বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে কৃমি রয়েছে। অতএব লক্ষণ গুলি হচ্ছেঃ
- পেটে কৃমির আবির্ভাব দেখা দিলে পেটে বারবার ব্যথা করবে।
- আপনার চোখ লাল হতে পারে
- আপনার জিহবা সাদা হতে পারে এবং জিহবা মোটা দেখা দিতে পারে
- এমনকি সারাক্ষণ আপনার মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে পারে।
- পাতলা পায়খানা হবে
- সাধারণত খাদ্যে অরুচি থাকবে
- বমি বমি ভাব হবে
- পায়খানার রাস্তায় চুলকানি হবে
তবে এইসব লক্ষণ গুলি শিশুদের মাঝে দেখা দেয়। আবার কিছু বয়সের লোকের মাঝেও এসব লক্ষণ দেখা দেয়। তবে এইসব লক্ষণ দেখা দিলে অতিসত্বর আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। এবং ভালো মানের ওষুধ সেবন করুন।
কৃমির ওষুধের দাম কত
এই ওষুধগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে আপনি অনেক কম টাকায় পেয়ে যাবেন। কোম্পানি বেদে এই ওষুধগুলোর দামের বিভিন্ন পার্থক্য হয়। যেমন এই Albendazole ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ওষুধের দাম সর্বনিম্ন তিন টাকা। এবং সর্বোচ্চ এ ওষুধের দাম বা ট্যাবলেটের দাম ২৩ টাকা। এছাড়া কৃমিনাশক ট্যাবলেট বিভিন্ন রয়েছে। যেগুলোর দাম বিভিন্ন ধরনের। অর্থাৎ আপনি যে কৃমির ওষুধও কিনেন না কেন। সর্বনিম্ন ৩ টাকায় একটি ট্যাবলেট পেয়ে যাবেন।
বাচ্চাদের কৃমির ওষুধের নাম কি
কৃমির ওষুধগুলো সাধারণভাবে যেভাবে পাওয়া যায় এক হচ্ছে সরকারিভাবে যেটা স্কুল কলেজে প্রদান করার জন্য পাঠানো হয়। আরেকটি হচ্ছে বিভিন্ন বাংলাদেশের কোম্পানি দ্বারা তৈরি। যেগুলো আপনি আপনার নিকটস্থ যে কোন ফার্মেসীর দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে এখন আপনাদের জানাবো বাচ্চারা এই কৃমিতে আক্রান্ত হলে তাদের জন্য কোন ওষুধটি ভালো হবে এবং সেই ওষুধগুলোর নাম কি কিঃ
- মেবেন্ডাজোল
- এ্যালবেনডাজল ৪০০ মি.গ্রা.
- পাইরান্টেল
আরো ইত্যাদি ট্যাবলেট রয়েছে। যেগুলো সেবনে আপনার বাচ্চার কৃমী থেকে মুক্তি পাবে। তবে প্রত্যেকের উচিত ডাক্তারের সাথে আপনার বাচ্চার কৃমির অবস্থা আলোচনা করে ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ গ্রহণ করা।
গুড়া কৃমির ওষুধের নাম
এই অস্বস্তিকর একটা সমস্যার মধ্যে অন্যতম কৃমি। যেটা অনেক অস্বস্তিকর এবং শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তবে সঠিক পদ্ধতি এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই গুড়া কৃমিকে দূর করা উচিত। তবে এই গুড়া কৃমি দূর করার জন্য যে ওষুধগুলো ব্যবহার করতে হয় বা গ্রহণ করতে হয় তার নামগুলো হচ্ছেঃ
- Mebendox
- Promax
- Solas
- Sermox
- Seemox
উপরে উল্লেখিত ওষুধ খেলে আপনার গুড়া কৃমি খুব সহজে দূর হবে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী উপরে উল্লেখিত ওষুধগুলো সেবন করুন।
কৃমির ট্যাবলেট কয়টা খেতে হয়
কৃমির ওষুধ সাধারণত প্রতি তিন মাস পর পর খেতে হয়। আর কিছু ওষুধ পর পর তিনদিন এবং সাত দিন করে খেতে হয়। যেটা বেশি অনেক কার্যকর হয়ে থাকে। তবে সম্পূর্ণ ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে ওষুধগুলো সেবন করুন। এতে আপনার জন্য উত্তম হবে।
কৃমির ঔষধ কত দিন পর পর খেতে হয়
এই কৃমির ওষুধ প্রতি তিন মাস পর পর একটিবার সেবন করা উচিত। এটা উত্তম,তবে উত্তম হবে যদি পরিবারের সবাই একসাথে এই ওষুধটি প্রতি তিন মাস অন্তর একবার সেবন করুন। আর মেবেনডাজল হলে খেতে হবে পরপর তিন দিন। সাত দিন পর আরেকটা ডোজ খাওয়া যায়।
ঘরোয়া উপায়ে কৃমি দূর করার উপায়
ছোট বড় প্রত্যেকের কৃমি প্রায় একই ধরনের হয়ে থাকে। তবে কৃমি আপনি ঘরোয়া উপায় দূর করতে পারবেন। আবার চাইলেই আর ডাক্তারদের কাছ থেকে ওষুধ সেবন করে এই কৃমি কে দূর করতে পারবেন। তবে অনেকেই ডাক্তারের কাছ থেকে ঔষধ গ্রহণ না করে বাড়িতে ঘরোয়া উপায়ে ওষুধ সেবন করতে চান। তাই যারা ঘরোয়া উপায়ে এই কৃমি দূর করতে চান তাদের জন্য কিছু নিয়ম এবং উপায় উল্লেখ করা হলোঃ
- নিমঃ
নিম পাতাকে সকল রোগের মহা ঔষধ বলা হয়ে থাকে। নিয়ম করে অল্প কিছুদিন নিমপাতা খেলে নিমিষেই পেটের কৃমি দূর করা যায়। নিম পাতা ভালো করে পিসে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে খেয়ে ফেলুন। পরপর এক সপ্তাহ খেলে আশা করি আপনি অনেক ভাল ফলাফল পাবেন।
- কুমড়ার বীজঃ
ভাজা কুমরার বীজ এর সাথে এক টেবিল চামচ নারিকেল দুধ এবং আধা কাপ পানি ভালোভাবে মিশ্রণ করে নিন। এবং এক সপ্তাহ খেয়ে দেখু*ন। আশা করি কৃমি সহ আপনার পেটের অন্যান্য ক্ষতিকর পরজীবিগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে।
- কাঁচা পেঁপেঃ
কাটা পেঁপেও কৃমি নিরাময় করার কাজে অনেক উপকারী। শুধু তাই নয় কাঁচা পেঁপে পেটের গ্যাস সহ অন্যান্য সমস্যা দূর করে থাকে। এক গ্লাস দুধে কাঁচা পেঁপে এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন অতঃপর এক সপ্তাহের জন্য খালি পেটে সকালে খেয়ে ফেলুন।
- রসুনঃ
এক সপ্তাহ কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান অথবা চায়ের সাথে খেয়ে ফেলুন।
- লবঙ্গঃ
আপনি এক কাপ পানিতে দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ ফুটিয়ে নিন। এবং এক সপ্তাহের জন্য এটি খেয়ে দেখু*ন চায়ের মতো করে। আশা করা যায় আপনার তিনি খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
তো চলুন সংক্ষিপ্ত পরিসরে এই কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিন। তবে প্রত্যেক ওষুধ একে নিয়ম অনুসারে খেতে হবে। না হলে এ ওষুধের কিছু প্রতিক্রিয়া রয়েছে যেগুলো আমাদের জন্য অনেক ক্ষতি কর হতে পারে। তাই ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সঠিক নিয়ম মেনে চলে ওষুধগুলো সেবন করা উচিত। কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম গুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
- ছোট বড় সবার জন্য একই সাইজের এই কৃমির ঔষধ সেবন করতে হবে।
- এবং নিয়ম হচ্ছে পরিবারের সবাই একসাথে এই ওষুধ সেবন করুন, না হলে পরিবারের অন্যদের দ্বারা আপনার এই কৃমি হতে পারে।
- আপনি যদি স্বাস্থ্যবান অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে প্রতি ৩-৪ মাস পর পর একটি করে এই কৃমির ওষুধ খেতে পারেন।
- প্রচন্ড গরম এবং শরীরের স্বাভাবিক অবস্থা না থাকলে এই ওষুধ সেবন না করাই শ্রেয়।
- অনেকের ভুল ধারণা কৃমির ওষুধটি কার্যকর করার জন্য খাবারের সাথে ওষুধটি খেতে হবে। কৃমিনাশক ঔষধটি সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করা উচিত
- তবে এই কৃমির ওষুধগুলো সম্পূর্ণ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে গ্রহণ করুন।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ক্রিমির বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে যেগুলো সেবন করলে আপনার শরীরের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে অবশ্যই আপনার শরীরে নিচে দেওয়া উল্লিখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা দিলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ গ্রহণ করুন। তো চলুন কোন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরে দেখা যেতে পারেঃ
- পরিপাকতন্ত্রের গোলযোগ
- মাথাব্যাথা
- মাথাঘোরা
- যকৃতে এনজাইমের পরিবর্তন
- র*ক্তস্ফোট
- ফসকুড়ি
- জ্বর
- শ্বেতকনিকা স্বল্পতা
- পেনসাইটোপেনিয়া
- পেশী সংকোচন
- এলার্জিকশক
- মস্তিষ্ক ঝিল্লীর প্রদাহ বা প্রদাহ ছাড়াই শুষ্কাবস্থা।
শেষ কথা
আশা করছি আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো জানতে পেরেছেন। ছোট বাচ্চাদের কৃমি এবং বড়দের কৃমি কিভাবে দূর করতে হয় তা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। যদি আমাদের এই পোস্ট করে উপকৃত হয়ে থাকেন এবং ওষুধের নাম গুলো জেনে থাকেন। তাহলে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার আশেপাশের ব্যক্তিদেরকে এই পোস্ট শেয়ার করে তাদেরকে এই ওষুধ সম্পর্কে জানিয়ে দিন।