বিভিন্ন রোগ হলে আমরা ডাক্তারের কাছে আমরা শরণাপন্ন হয়ে থাকি। ডাক্তাররা আমাদেরকে বিভিন্ন ওষুধ প্রদান করে থাকেন। কিন্তু প্রায় সকল ওষুধের আমরা কাজ এবং ব্যবহারবিধি জেনে থাকি না। তেমনি আপনাকে যদি কোন ডাক্তার টোফেন সিরাপ দিয়ে থাকেন। তাহলে আজকে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে টোফেন সিরাপ এর কাজ কি বিস্তারিত জেনে নিন।
এই ঔষধ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে অনেক ভালো কাজ করে থাকে। তাই ডাক্তাররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ওষুধ রোগীদের কে প্রদান করে থাকেন। টোফেন সিরাপ এর কাজ কি এবং সিরাপ কেন খাওয়া হয়। এছাড়াও বাচ্চাদের টোফেন সিরাপের কাজ কি। সর্বোপরি, টোফেন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেল অবশ্যই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে দেখু*ন।
টোফেন সিরাপ এর কাজ কি
বিশেষ করে সর্দি কাশি নিরাময়ের জন্য এই ওষুধের অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। কেননা এই ওষুধটি অনেকটা কার্যকরী,যেমন বাচ্চাদের সর্দি এবং ঠান্ডা কাশি নিরাময়ে এ ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া যাদের হাঁপানি এবং অ্যাজমা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও টোফেন সিরাপ অনেকটা কার্যকরী। এমনকি যাদের চোখ ওঠে তাদের ক্ষেত্রেও এই ওষুধ অনেকটা কার্যকরী। এছাড়াও এই টোফেন সিরাপ এর কাজ কি আরো বিস্তারিত জানতে একটু নিচে প্রবেশ করুন।
টোফেন সিরাপ কেন খাওয়া হয়
টোফেন এর সাংকেতিক নাম হচ্ছে কিটোটাইফেন ফিউমারেট। এটা আপনি সিরাপ এবং ট্যাবলেট আকারে পেয়ে যাবেন। তবে এখানে সিরাপ এর কাজ কেন খাওয়া হয় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা সম্পন্ন করা হয়েছে। শরীরের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা হলে টোফেন সিরাপ সেবন করা হয়। যেমন হাঁপানি শ্বাসকষ্ট এবং সর্দি এমনকি এলার্জি এবং শ্বাসনালী ফুলে যাওয়া রোগে এই টোফেন সিরাপ খাওয়া হয়।
তবে শ্বাসতন্ত্রে যাবতীয় সমস্যা এড়াতে এই টোফেন সিরাপ অনেক বেশি কার্যকরী। অথবা এই টোফেন সিরাপ হাঁপানি এর সমস্যা সম্পূর্ণ এড়াতে না পারলেও এর প্রাথমিক যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে তা দমিয়ে রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী এই টোফেন সিরাপ।
বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি
এই টোফেন সিরাপ বাচ্চাদের সর্দি কাশি এবং শ্বাসযন্ত্রের জটিলতার সৃষ্টি হলে গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ডাক্তারগণ এই ওষুধ হাঁপানি, অ্যাজমা, শাসনালী ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সকল রোগের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এছাড়াও চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই টোফেন সিরাপ অনেকটা কার্যকরী। চোখের রোগ কনজাংটিভাইটিস যেটাকে “চোখ ওঠা” বলা হয় অর্থাৎ অনেকের চোখ উঠে থাকে। এরূপে চোখের প্রদাহ,জ্বালাপোড়া করা, এমনকি চোখ লাল হয়ে যাওয়া, এবং চুলকানি জনিত সমস্যা এড়াতে এই টোফেন সিরাপ ব্যবহার করা হয়।
বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
এক বছরের শিশুদেরকে দিনে দুইবেলা হাফ চামচ করে খাওয়াতে হবে। এবং ১ থেকে ৩ বছরের শিশুদের কে ১ চামচ করে দুই বেলা খাওয়াতে হবে। ৩ থেকে ৬ বছর শিশুদেরকে দের চামচ করে খাওয়াতে হবে। আর ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদেরকে সকালে ও রাতে দুই চামচ করে খাওয়াতে হবে। সর্বোপরি ভরা পেটে সিরাপটি গ্রহণ করার নির্দেশ রয়েছে।
সর্বোপরি এ ওষুধ একজন রেজিস্টার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করে ওষুধগুলো সেবন করুন। না হলে এই ওষুধ অনিয়মিত গ্রহণের ফলে আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমন কি আপনার শরীরের অবস্থা ডাক্তারকে জানিয়ে পরবর্তীতে এ ওষুধ গ্রহণ করুন।
টোফেন সিরাপ এর দাম কত
নিখুঁত এবং আপডেট দাম এখানে উল্লেখ করেছি। অর্থাৎ এখানে যে মূল্য আমরা উপস্থাপন করেছি, সে মূল্য অনুযায়ী আপনি আপনার নিকটস্থ ডাক্তারের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। অর্থাৎ টোফেন সিরাপ ১০০ মিলি এর দাম মাত্র ৭৫ টাকা।
টোফেন সিরাপ এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এই টোফেন সিরাপ বাচ্চাদের জন্য প্রস্তাবিত একটি ওষুধ বা মেডিসিন। এই সিরাপটি শিশুদের ব্যথা ও স্নায়ু ব্যথা সম্পর্কিত সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি একটি কার্বনিক এসিড এর উপস্থিতিতে কাজ করে। তবে এই ওষুধ অনিয়মিত গ্রহণের ফলে এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করার ফলে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হতে পারে। নিচে সেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো উল্লেখ করা হলো।
- মুখ গহ্বরের শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।
- সামান্যতম মাথা ঘোড়ার অনুভূতি হতে পারে।
- আপনার তন্দ্রাচ্ছন্নতা দেখা দিতে পারে।
- ঘুমের ওষুধের পাশাপাশি এ ওষুধ গ্রহণ করলে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- ডায়াবেটিক বিরোধী এ ওষুধ এর সাথে গ্রহণ করা যাবে না। এতে স্বল্পতা দেখা দিতে পারে।
শেষ কথা
আশা করতেছি আমাদের এই পোস্ট থেকে টোফেন সিরাপ এর কাজ কি বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আর এই ওষুধগুলো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বা বড়দের ক্ষেত্রেই হোক অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত। যদি এই পোস্ট করে আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে। তাহলে আপনার আশেপাশের ব্যক্তিদেরকে অবশ্যই এই পোস্ট শেয়ার করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ
আরও দেখু*নঃ