কাশির ট্যাবলেট এর নাম কি ও দাম কত

কাশি নিরাময়ে আপনি যে কোন ফার্মেসিতে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট পেয়ে যাবেন। হুটহাট করে যে কোন সময় এই কাশি যে কারো হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঠান্ডার পর এই কাশি অনেকের হয়ে থাকে। তবে এই কাশি নিরাময়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট খেতে পারেন। যেগুলো খুব সহজেই আপনার কাছে কে নিরাময় করবে। এর মধ্যে অন্যতম একটি কাশি হচ্ছে অ্যালকফ কফজেল ট্যাবলেট। এই ট্যাবলেট কাশির কারণে ব্যবহৃত হয় যা হাঁপানি ,ধূমপান এবং এমফিসেমা দ্বারা সৃষ্টি। অতএব এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের কাশির ট্যাবলেট এর নাম জানতে একটু নিচে প্রবেশ করুন।

এছাড়াও এই পোস্ট থেকে আপনারা জানতে পারবেন কাশির ট্যাবলেট গুলোর দাম কত টাকা। এবং স্কয়ার কোম্পানির ঔষুধ গুলোর নাম সম্পর্কে। অনলাইনে অনেকেই কাশির ট্যাবলেট এর নাম লিখে অনুসন্ধান করেন। এজন্য আজকের আর্টিকেলে কাশি ট্যাবলেট এর বিভিন্ন নাম নিয়ে উল্লেখ করেছি। অতঃপর সম্পূর্ণ পোস্ট বিস্তারিত পড়ুন।

কাশির ট্যাবলেট এর নাম

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে আমাদের কাশি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রথমে হালকা ঠান্ডা থেকে শুরু করে কাশির উৎপত্তি ঘটে। এই কাশি নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন রকমের ওষুধ ও সিরাপ রয়েছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ রোগীর খাসির মাত্রা উপনির্ভর করে কাশির ট্যাবলেট প্রদান করে থাকে। কিন্তু অনেকেই আবার ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ইন্টারনেটে কাশির ট্যাবলেট এর নাম কি তা জানতে চায়। আপনি প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কাশির জন্য বিভিন্ন রকমের ওষুধ সেবন করতেই পারেন।

প্রথমত আপনার কাশি যদি স্বাভাবিক হয়ে থাকে তাহলে বিভিন্ন রকম ট্যাবলেট আপনাকে ডাক্তার প্রদান করবেন। আর গুলো হচ্ছে Tofen,Ketomar,Fexo আরো ইত্যাদি। সাধারণত কাশির ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেট গুলো অনেক বেশি উপকার।  শুধু এগুলো নয় কাশির জন্য আর বিভিন্ন রকমের ট্যাবলেট রয়েছে।  যেগুলো কাশির পরিমাণ অনুযায়ী ডাক্তার রোগীকে প্রদান করে থাকেন।  অতএব যারা  আরো কাশির ট্যাবলেটের নাম জানতে চাচ্ছেন একটু  নিচে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের কাশির ট্যাবলেটের নাম জেনে নিন।

কাশির ওষুধের নাম কি

এই কাশির জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাবেন আবার কিছু ট্যাবলেট পাবেন। তবে ডাক্তার আপনাকে ওষুধ নাকি ট্যাবলেট সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনার কাশির উপর। আপনার কাশির পরিমাণ বেশি হলে ডাক্তার আপনাকে ট্যাবলেট অথবা ওষুধ প্রদান করতে পারেন। তবে কাশির বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে যে ওষুধ সেবনে এক নিমিষেই আপনার কাশি দূর হয়ে যাবে। কাশির ওষুধগুলো হচ্ছেঃ

Fexo ,Dinafex,Fenadin,Axodin,Fixal আরো ইত্যাদি। একটু নিচে প্রবেশ করে শুকনা কাশির ট্যাবলেট গুলোর নাম জেনে নিন। বাইনারি 

শুকনো কাশির ট্যাবলেট এর নাম

যাদের বর্তমানে শুকনা কাশি রয়েছে। তারা নিম্নোক্ত দেওয়া ট্যাবলেট ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন। যে ট্যাবলেট গুলো সেবন করলে আপনার কাশির সমস্যা খুব দ্রুত দূর হবে। আর নিজের ট্যাবলেট গুলো অনেক পরিচিত। যেগুলো সচরাচর এই ট্যাবলেট গুলো রোগীদের কে প্রদান করে থাকেন।

  • Tofen
  • Prosma
  • Fenat
  • Alarid
  • Ketomar
  • Toti
  • Ketifen
  • Totifen

বাচ্চাদের কাশির সিরাপের নাম

বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের ঠান্ডা বা কাশির সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বাচ্চাদের কাশির সিরাপ পাওয়া যায়। আপনি কি জানেন বাচ্চাদের কাশিরাপির নাম কি। আপনাদের জানার সুবিধার্থে নিচের অংশে কিছু সিরাপের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার বাচ্চাকে এ সকল কাশির সিরাপ প্রদান করবেন।

  • Remocof
  • Adolef
  • Adovas
  • Ecof
  • Tusca plus

কাশির ট্যাবলেট এর দাম কত

এই কাশির ট্যাবলেট এর দাম সর্বনিম্ন ২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে শুরু করে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু ওই কাশির ট্যাবলেটের সিরাপ গুলোর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে।  ৫০ থেকে প্রায় ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

কাশির ট্যাবলেটের নাম স্কয়ার

অনেকে আবার কোম্পানি বেধে উচিত সেবন করে থাকেন। যেমন স্কয়ার অনেক পরিচিত একটি কোম্পানি। এবং এই কোম্পানির ওষুধগুলো সেবনে অনেক দ্রুত কার্যকারিতা পেয়ে থাকেন।  তবে এই কাশির কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো স্কয়ার কোম্পানি। সেই স্কয়ার কোম্পানির কাশির ট্যাবলেট এর নাম উল্লেখ করা হলোঃ

  • মন্টিন ১০ এমজি। যাদের শ্বাসকষ্ট এবং কাশির সমস্যা রয়েছে তারা এ ট্যাবলেটটি খেতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। আরেকটা ট্যাবলেট এর মূল্য ১৫ টাকা।
  • Incilor 10 mg
  • Carba 75 mg
  • Cefotil 250

এলার্জি কাশির ঔষধ এর নাম

নিম্নে কিছু এলার্জির জনিত কাশির ওষুধের নাম বা কাশির ট্যাবলেট এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখিত Fexo এবং ফেনাডিন। এ ট্যাবলেট গুলোর দাম ৩-১০ টাকা পর্যন্ত। যাদের এলার্জি জন্য কাশির সমস্যা হয় তাদেরকে বিভিন্ন ডাক্তার এই ওষুধগুলো প্রদান করে থাকেন। আপনারা চাইলেই এই ওষুধগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন।

  • Fexo
  • Dinafex
  • Fenadin
  • Axodin
  • Fixal

কাশির অ্যালকফ কফজেল ট্যাবলেট

অ্যালকফ কফজেল ট্যাবলেট (Alkof Cofgel Tablet) একটি নিবারন যা কাশির কারণে ব্যবহৃত হয় যা হাঁপানি ,ধূমপান এবং এমফিসেমা দ্বারা সৃষ্টি । এটি মস্তিষ্কের সংকেতগুলিকে প্রভাবিত করে যা কাশি প্রতিফলনকে ট্রিগার করে 

১০টি ভালো কাশির ট্যাবলেটের নাম

কাশির ট্যাবলেট এর বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন কোম্পানির পেয়ে যাবেন। তবে এতো ট্যাবলেট এর মধ্যে শুধুমাত্র দশটি ভালো কাশি ট্যাবলেট এর নাম আপনাদের জন্য উল্লেখ করছি। যে ট্যাবলেট গুলো সেবন করলে একজন কাশির রোগী খুব সহজেই আরোগ্য লাভ করবেন। আর এই কাশি দীর্ঘদিন চেপে না রেখে অবশ্যই ডাক্তারের কাছ থেকে ভালো ওষুধ সেবন করা উচিত। অনেক ভালো কাশির ট্যাবলেট এর মধ্যে যে ১০ টি কাশির ট্যাবলেট এর নাম আপনাদের মাঝে উল্লেখ করা হলো। সেগুলো হচ্ছেঃ

  • Fexo ১২০
  • এমব্রক্স৭৫ 
  • টফেন
  • মোনাস টেন 
  • মন্টিন ১০ এমজি
  • Sedno
  • Axodin ১৮০ 
  • Klarix
  • Askorel sr
  • কেটো এ ১০০

ঘরোয়া উপায়ে কাশি দূর করার উপায়

ডাক্তারের থেকে কোনরকম ওষুধ সেবন না করে যেভাবে আপনি ঘরোয়া উপায়ে আপনার  কাশি দূর করবেন।  তা নিয়ে কিছু আলোচনা উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করা যায় নিচের দেওয়া উপায় গুলো লক্ষ্য করলে আপনি আপনার কাশি খুব দ্রুত নিরাময় করতে পারবেন। যেমনঃ

তুলসী পাতাঃ

তুলসী পাতার রস প্রতিদিন দুই চামচ করে মধুর সাথে মিশিয়ে খাবেন। এটা আশা করা যায় খুব দ্রুত আপনার কাশি দূর হয়ে যাবে।

বাসক পাতাঃ

বাসক পাতা হয়তো অনেকে চিনেন না, যদি না চিনে থাকেন তাহলে একটু  গুগলে সার্চ করে দেখে নিন।  আর এই পাশে কথা খাওয়া নিয়ম হচ্ছে, গরম পানিতে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে,বাসক পাতা উঠিয়ে কুসুম গরম পানি খেয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার রাশি অনেকটা দূর হয়ে যাবে।

আদাঃ

এছাড়াও কাশি দূর করার আরো একটি পদ্ধতি হচ্ছে আদার রস। অথবা আদার সাথে একটু  সামান্য পরিমান লবন মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। ফুসফুসে কাশি দূর করার জন্য এটি একটি ভালো পদ্ধতি।

মধুঃ 

আমরা সকলেই জানি মধু সকল রোগের মহা ঔষধ। তাই কিছু পরিমাণ মধু খেলে আপনার খুসখুশি এবং কাশি দূর হতে পারে।

হলুদের সঙ্গে গরুর দুধঃ

এরপর অন্যতম একটি পদ্ধতি হচ্ছে হলুদের গুঁড়ো সঙ্গে গরুর দুধ মিশিয়ে খেলে অনেকাংশে কাশি দূর হয়। এই মিশ্রণটি সকালে রাতে খেয়ে দেখু*ন। আশা করা যায় ভালো ফল পাবেন। 

কাশি হলে যে খাবার খাওয়া যাবেনা

যাদের কাশি রয়েছে  তাদের কিছু খাবারের নির্দেশনা বলে রয়েছে। আর এই খাবার নির্দেশনা গুলো মেনে চলা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধ সেবনে পাশাপাশি খাদ্য তালিকার কিছু পরিবর্তন আনা দরকার।  যাদের অতিরিক্ত কাশি রয়েছে তাদের নিম্নোক্ত খাবার গুলো খাওয়া নিষেধ। যেমন

  •  অতিরিক্ত তেলযুক্ত ভাজা খাবার
  •  প্রক্রিয়াজাত খাবার
  • অ্যালকোহল যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না
  • ক্যাফেইন যুক্ত পানি
  • এছাড়াও কাশি হলে কলা খাওয়া যাবেনা
  •  তরমুজ খাওয়া যাবেনা
  • আঙ্গুর ফল ও কমলা খাওয়া যাবেনা। আর কাশি হলে  এগুলো না খাওয়াই উত্তম।

কাশির জন্য কোন সিরাপ ভালো

ছোটদের কাশি হয় আবার বড়দের কাশি হয়। তবে ছোট এবং বড়দের বিভিন্ন রকম কাশির ওষুধ পাওয়া যায়।  যেমন ছোটদের জন্য কাছে সিরাপ রয়েছে। আবার বড়দের জন্য কাছে  সিরাপ রয়েছে। তবে ছোটদের কাশি হলে রিমোকফ সিরাপ ( Remocofe ) খাওয়ানো যেতে পারে।  এটি অনেক কার্যকরী একটি সিরাপ।  আবার যারা একটু বয়স্ক এবং বড় তাদের জন্য পিউরিসাল কাশির সিরাপ। বড়দের জন্য  এই কাশির সিরাপ অনেক উপকারী। এই সিরাপ গুলোর দাম ৩০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

এছাড়া সর্বোপরি কাশির জন্য এডভাস সিরাপ অনেকটা ভালো। আর বাচ্চাদের জন্য টোফেন সিরাফ অনেকটা ভালো।

কাশি হলে কি খাওয়া উচিত

যদি আপনার  কাশি হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন আপনি দুই চামচ মধু কুসুম গরম এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। প্রাকৃতিক ভাবে এতে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও লেবুর রস এবং আদার রস একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটিও অনেক ভালো কাজ করে থাকে।  সম্ভব হলে খেয়ে দেখতে পারেন।

কাশি হওয়ার কারণ

আপনি যদি কাশি হতে দূরে থাকতে চান তাহলে কাশি হওয়ার কারণ গুলো কি কি তা জানতে হবে। বেশ কয়েকটি কারণে কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ধুলোবালি, ঋতু পরিবর্তন, অতিরিক্ত গরম বা এলার্জি থেকে কাশির উৎপত্তি হতে পারে। এছাড়াও আপনার ফুসফুসে সংক্রমণের কারণেও অত্যাধিক পরিমাণ কাশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা দীর্ঘদিন যাবত ধূমপান করে বা মাদকদ্রব্য সেবন করে তাদের কাশির পরিমাণ অত্যাধিক পরিমাণ হয়ে থাকে।

শেষ কথা

সর্বোপরি আজকের আর্টিকেলে কাশির ট্যাবলেট এর নাম সহ আরো বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা এই পোস্ট করে অনেকটাই উপকৃত হয়েছেন। বাংলাদেশে আপনি যেকোন ফার্মেসিতে বিভিন্ন ধরনের কাশির ওষুধ পেয়ে যাবেন। তবে প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত কাশি হলে কি ট্যাবলেট খাওয়া দরকার এবং কি ওষুধ খাওয়া দরকার। আর এরকম পোস্ট প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তাই আপনার আশেপাশের বেক্তিদেরকে এই পোস্ট বেশি বেশি শেয়ার করে তাদেরকে কাশির ওষুধ সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দিন।  ধন্যবাদ