গলা ব্যাথার ঔষধের নাম কি ও দাম কত

বিভিন্ন উপসর্গ হিসেবে গলা ব্যাথা দেখা দিয়ে থাকে। কিছুদিন আগেও করোনা ভাই*রাস উপসর্গ হিসেবে এই গলা ব্যথা থাকে মনে করা হতো। তবে সাধারণত গলা ব্যাথা হলে অনেকেই মনে করে থাকেন যে টনসিল হয়েছে। তবে এই গলা ব্যথা মারাত্মক কোন সমস্যা নয়। মাঝেমধ্যেই হয়ে থাকে। আবার চিন্তা ভাবনারও একটি বিষয়, কারণ এই গলা ব্যথা অনেক বড় রোগের একটি উপসর্গ হিসেবে দেখা দিয়ে থাকে।  তবে যারা এই গলা ব্যাথার ঔষধের নাম জানতে চাচ্ছেন তারা আমাদের এই পোস্ট থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধের নাম জানতে পারবেন।

তবে এই গলা ব্যথা বিভিন্ন কারণে মাঝে মাঝে হয় যেমন,ঠান্ডা সর্দি কাশি ইত্যাদির পর মাঝেমাঝে এই গলা ব্যথা হয়ে থাকে। তবে এই রোগ নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন ওষুধ আমরা বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে পেয়ে থাকি। তবে গলা ব্যথা বেশিদিন চেপে রাখা ঠিক নয়। জরুরী ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। তবে আপনারা যারা অনলাইনে এসে এই গলা ব্যথার বিভিন্ন ওষুধের নাম জানতে চাচ্ছেন।  তাদের আর কোথাও যেতে হবে না আমাদের এই পোস্ট থেকে ভালো মানের এবং বিভিন্ন প্রকারভেদের গলা ব্যাথার ঔষধের নাম জানতে পারবেন। অতএব সম্পূর্ণ পোস্ট বিস্তারিত দেখে নিন।

গলা ব্যাথার ঔষধের নাম

এই গলা ব্যথাকে ইংরেজিতে বলা হয় ফ্যারিঞ্জাইটিস (Pharyngitis)। তবে আমরা অনেকেই জেনে থাকি এই গলা ব্যথা হওয়ার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে ঠান্ডা লাগা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা এর জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়া। সাধনভাবে এই জীবাণু দ্বারা গলায় আক্রান্ত হওয়ার ফলেই আমাদের গলায় ব্যথা হওয়া শুরু করে। তবে এই জীবাণুকে দূর করার জন্য বিভিন্ন ঔষধ আপনার নিকটবর্তী ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন।

যে ওষুধগুলো আপনারা সেবন করে এই গলা ব্যথার জীবানু কে দূর করবেন তার বিভিন্ন  ওষুধ বা ট্যাবলেট এর নাম আপনাদের জানানোর জন্য উল্লেখ করেছি। আর এই গলা ব্যাথার ঔষধের নাম প্রত্যেকের জেনে রাখা উচিত। অতঃপর সম্পূর্ণ পোস্ট বিস্তারিত পড়ে নিন।

গলা ব্যথার ওষুধ এন্টিবায়টিক

আপনার যদি গলা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে পারেন। আশা করা যায় আপনার অসুস্থতা খুব দ্রুত সারাতে এই এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেটটি অনেক ভালো কাজ করবে। এই গলা ব্যথার ওষুধ অ্যান্টিবায়োটিক হচ্ছে (Zimax 500 tablet)। বিভিন্ন ধরনের গলা ব্যথার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক আপনি ফার্মেসির দোকান থেকে পেয়ে যাবেন।

তবে আপনাকে অবশ্যই এই এন্টিবায়োটিক ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। তবে পরামর্শ না নিয়ে সেবন করলে আপনার যেকোনো ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও এন্টিবায়োটিক ছাড়া বিভিন্ন গলা বা ব্যথা খুব দ্রুত নিরাময় করার জন্য নিম্নোক্ত ওষুধগুলো খেতে পারেন।যেমনঃ

  • ডক্সিন (Doxin)
  • টসপেল (Tospel)
  • ডেক্সট্রিম (Dextrim)
  • ডক্সিসাইক্লিন (Doxycycline)
  • প্যারাসিটামল রেনোভা (Paracetamol Renova)

ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধের নাম

যাদের ঢোক গিলতে সমস্যা হয়  বা গলা ব্যথা রয়েছে তারা নিম্নোক্ত ওষুধগুলো সেবন করতে পারেন। নিচে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো গলা ব্যথা দূর করতে অনেক বেশি উপকারী। আর এই ওষুধ গুলোর বিভিন্ন পাওয়ার রয়েছে,যেগুলো পরিমাণমতো আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

  • সুয়ালেক্স
  • রোলাক
  • নাপা এক্সটেনড আপনার যদি গলা ব্যথার পাশাপাশি জ্বর ও থাকে তবে আপনার জন্য সবথেকে কার্যকরী ট্যাবলেট হবে
  • জিরোডল-পি (Zerodol-P)
  • ২। ট্রাইডোসিল-৫০০ (Tridosil-500)
  • ৩। মক্সাসিল-৫০০ (Moxacil-500)
  • E Fix 100Mg

গলা ব্যথা হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

প্রচন্ড গলা ব্যথা হলে অসহ্য লাগা স্বাভাবিক। গলা ব্যথা দূর করার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রয়েছে। অনেকেই গলা ব্যথা হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত তা জানতে চায়। আপনি ডক্সিসাইক্লিন গ্রুপের যেকোনো কোম্পানির ঔষধ সেবন করতে পারেন। দৈনিক দুইবার এই ওষুধ আপনি চাইলে সেবন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি গলা ব্যথা হতে আরোগ্য পেতে চান তাহলে ওষুধ সেবন করার পাশাপাশি অবশ্যই গরম পানি দিয়ে গরগরা সহ কুলি করবেন।

গলা ব্যথার ঔষধের দাম কত

আপনি গলা ব্যথার ওষুধের  দাম যদি জানতে চান তাহলে এখান থেকে জানতে পারবেন। অর্থাৎ সর্বনিম্ন ৭ টাকায় একটি গলা ব্যথার ওষুধ  কিনতে পারবেন। তবে কিছু ওষুধ রয়েছে অনেক কম টাকায় কিনতে পারবেন। আর গলা ব্যথা এই ওষুধগুলো সর্বোচ্চ ১০০ টাকার বেশি হতে পারে। যেমন মক্সাসিল-৫০০ (Moxacil-500) এ ট্যাবলেট এর দাম ৩৫ টাকা। আবার রোলাক রোলাকের দাম ৩৫ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।

গলা ব্যথা হওয়ার কারণসমূহ

সাধারণভাবে গলা ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কয়েকটি হয়তো আমার সকলেই আশেপাশের লোকদের থেকে জেনে থাকি আজকে আমরা সকল কারণ সমূহ নিয়ে এখানে আলোচনা করেছি। অতএব যেসব কারণগুলো নিয়ে মূলত এই গলা ব্যথা হওয়ার সূচনা হয় তা আজকে আলোচনা করব।

 কারণনসূহ হচ্ছেঃ

  • ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য ও গলা ব্যাথা দেখা যায়। যেমন গলায় টনসিলের সমস্যা ও ডিপথেরিয়ার কারণেও গলা ব্যাথা হয়ে থাকে।
  • ভাই*রাসজনিত অসু্‌স্থ্যতা যেমন ঠান্ডা, ফ্লু, মনোনিউক্লিওসিস (Mononucleosis) এর কারণে গলা ব্যাথা বেশি হয়ে থাকে।
  • তাছাড়া অন্যান্য ভাই*রাসজনিত অসু্স্থ্যতা যেমন- হাম, চিকেনপক্স এর সংক্রমনেও গলা ব্যাথা দেখা যায়। 
  • এছাড়াও শরীরে এলার্জি থাকলে গলা ব্যথা হতে পারে
  • ঠান্ডা বাতাস শরীরে লাগলে
  • অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে হতে পারে
  • গলায় আঘাত পেলে
  • সর্বোপরি ক্যান্সার হলে, যদিও এটি বিরল তবে ক্যান্সার হলে ক্রমাগত ব্যথা হতে থাকবে।

গলা ব্যাথা থেকে বেঁচে থাকতে করণীয়

গলা ব্যথা মাঝে মাঝেই হয়। তবে এই গলা ব্যথা থেকে বেঁচে থাকতে কিছু কাজ করতে পারেন আবার কিছু ওষুধ সেবন করতে পারেন। ইতিমধ্যে আমরা অনেকগুলো ট্যাবলেটের নাম উল্লেখ করেছি যেগুলো সেবন করলে আপনার গলা ব্যথা এক নিমিষেই দূর করে দেবে। তবে প্রাকৃতিকভাবে শরীরের বিভিন্নভাবে রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই সবসময় সাবধানে চলাফেরা করতে হবে এবং সাবধানে থাকতে হবে। অথবা অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য যে গলা ব্যাথার ঔষধের নাম  উল্লেখ করা হয়েছে। তা সেবন করা করবে অবশ্যই ডাক্তারদের থেকে পরামর্শ নিয়ে সেবন করবেন। 

গলা ব্যাথার ট্যাবলেটের নাম

খুব ভালো এবং উপকারী ওষুধগুলোর নামে এখানে উল্লেখ করেছি। খুব দ্রুত নিম্নের উল্লেখিত দেওয়া ওষুধ গুলো খেলে আপনার গলা ব্যাথা খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি সেরে যাবে। খুব দ্রুত যদি আপনি আপনার গলা ব্যথা কে কমাতে চান তাহলে আপনাকে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে। এর পাশাপাশি কিছু রয়েছে যেগুলো গলা ব্যথার উপসম হিসেবে কাজ করে।

  • রোলাক (গলা ব্যথা সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যথার উপসমকারী ট্যাবলেট)
  • জিম্যাক্স ৫০০
  • নাপা এক্সটেন্ড (এই ওষুধটি জ্বর হলেও এবং ঠান্ডা লাগলেও খেতে পারবেন।

গলা ব্যথার বিভিন্ন উপসর্গ

নিম্নে কিছু গলা ব্যথার উপসর্গ বা লক্ষণীয় উল্লেখ করেছি। যে লক্ষণ গুলোর এ কারণে জানতে পারবেন যে আপনার গলা ব্যথা হয়েছে। আর নিচে সেই গলা ব্যথার কারণ এবং উপসর্গমূহ উল্লেখ করা হয়েছে। অতএব নিচে দেখু*ন

  • সর্দি
  • কাশি
  • দুর্বলতা
  • গলা ফুলে যাবে
  • কথা বলতে কষ্ট হবে
  • খাবার গিলতে বা ঢোক গিলতে কষ্ট হবে
  • আর শ্বাস নিতে গলা ব্যথা হবে
  • ঠান্ডার কারণে বাষ্পের কারণে গলা ব্যথা হলে লালা শুকিয়ে যাবে
  • অনেক সময় কাশির সাথে র*ক্ত পড়বে
  • গলা ভাঙ্গা
  • গলা ব্যথা হওয়ার পূর্বে গলায় চুলকানি হবে
  • কানে ব্যথা
  • জ্বর
  • গায়ে ব্যাথা মাথা ব্যথা
  • দেহে পিঠ অথবা হাতে পায়ে ফুস্কড়ি দেখা দেয়।
  • নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
  • বমি বমি ভাব হলে

গলা ব্যাথা হলে যা করবেন

আপনার যদি গলা অনেক বেশি ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে গরম পানিতে এক থেকে দুই চামচ মধু মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। এছাড়া প্রাকৃতিক ভাবে বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে যেগুলো আপনারা তৈরি করে সেবন করে গলা ব্যথা দূর হবে। এছাড়াও গরম পানির সাথে এক চামচ লবণ মিশিয়ে ঘর করা কুলি করতে হবে।

গরম পানি গরম জাম মধু ও গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে বারবার পান করতে হবে। গলা ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রামে থাকতে হবে,শুষ্ক গলা ভালো করতে মেন্থলের বাষ্প নিতে হবে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি এবং উষ্ণ তরল যেমন লেবু এবং মধু চা খেতে পারেন। সম্ভব হলে কথা কম বলে বাড়ির বাইরে আলোচনা করুন। যদি আপনার ব্যথাকে এবং তাহলে উপশম আধা আপেল এবার প্রাকৃতিক মার্শমেলো প্রাকৃতিক প্রতিরোধের চেষ্টা করতে হবে।

শেষ কথা

আশা করছি আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে পেরেছেন। আর যদি এই পোস্ট করে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার আশেপাশের অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে এই পোস্ট শেয়ার করে জানিয়ে দেবেন। এই পোস্ট শুধুমাত্র তাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ যারা গলা ব্যথা নিয়ে অনলাইনে এসে গলা ব্যাথার ঔষধের নাম জানার জন্য অনুসন্ধান করছিলেন। অতএব এই পোস্ট বেশি শেয়ার করে দিন। ধন্যবাদ