একজন গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা দেখু*ন

একজন গর্ভবতী মায়ের এ সময়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়ের সন্তানের জন্য সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রত্যেক পরিবারের গর্ভকালীন সময়টি অত্যন্ত উত্তেজনাকর ও আনন্দদায়ক হয়ে থাকে। গর্ভবতী মা সহ সন্তানের অনেক বেশি যত্ন নেওয়া উচিত। তবে যত্ন নিতে করে সব থেকে তাদের খাওয়া-দাওয়া ব্যাপারে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

তাই একজন গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা কিরকম হওয়া উচিত, তা অনেকেই কি সঠিক জানেন না। এ সময় নিষিদ্ধ খাবার ভুলে গ্রহণ করলে শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। তবে একজন গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাস স্বাভাবিক খাবার খেলে চলে। তবে তার পরবর্তী মাস থেকে অবশ্যই অতিরিক্ত খাবার সহ খাবারের তালিকায় বেশ মনোযোগ দেওয়া উচিত।

গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

যদি গর্ভকালে খাবার নিশ্চিত করে পুষ্টি বাড়িয়ে দিতে পারেন, তাহলে সন্তানের সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়। এমনকি গর্ভধারণের এই সময়গুলোতে একজন গর্ভবতী মা সহ সন্তানের ক্ষেত্রে নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। যা পুষ্টি যুক্ত খাবার এবং সঠিক খাবার তালিকা এসব জটিলতা থেকে অনেকটা দূরে থাকতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে কি খাবার একজন গর্ভবতী মায়ের খেতে হবে। এবং দুপুরে কি খেতে হবে ও রাতে কি খেতে হবে তার সঠিকভাবে জেনে নেওয়া উচিত।

আর একজন গর্ভবতী মায়ের সুষুম খাবার তালিকা নিশ্চিত করতে অবশ্যই পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সতর্ক থাকা উচিত। তবে গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া। তবে অবশ্যই কোন খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ না করা। এ সময় পরিমাণ মতো প্রতিদিন দুধ গ্রহণ করা। যাতে বাচ্চার স্বাভাবিক বৃদ্ধি হতে পারে। ডিম এবং অন্যান্য ফলমূল পরিমাণ মতো গ্রহণ করা। যাতে বাচ্চাসহ গর্ভবতী মা অনেকটা সুস্থ থাকতে পারে।

গর্ভবতী মায়ের ফল খাবার তালিকা

প্রায় প্রত্যেক ফলে প্রাকৃতিকভাবে এন্টি অক্সিজেন বিদ্যমান থাকে। যা গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেন এ এন্টিঅক্সিডেন্ট শিশুর বিকাশ করতে সহায়তা করে। তবে গর্ভধারণের প্রথম থেকে তিন মাস পর্যন্ত গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় এ সকল ফলগুলো রাখতে পারেন।

  • অ্যাভোকাডো
  • ডালিম
  • কলা
  • পেয়ারা
  • কমলা
  • আপেল
  • জাম্বুরা
  • পেয়ারা
  • স্ট্রবেরি
  • আম
  • কলা
  • মাল্টা

গর্ভাবস্থায় এই পাঁচ ফল খাবেন

একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য গর্ভাবস্থা হচ্ছে সবথেকে সেরা সময়। এই সময় তারা অনেক বেশি খুশি এবং হ্যাপি থাকে। তবে এই খুশি থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। তবে আপনাদের জন্য নিচে পাঁচটি ফলের নাম উল্লেখ করেছি যা অবস্থায় খাওয়া অনেক বেশি প্রয়োজন। সে ফলগুলোর মধ্যে হচ্ছে, কলা,কমলা, পেয়ারা, আপেল এবং কিউই। অতএব নিচে এই ফলগুলো বিস্তারিত ব্যাখ্যা জেনে নেওয়া যাক।

কলাঃ

কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। গর্ভকালের এই সময় চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়ার। একটি কলা খেলে আপনার পটাশিয়ামের ঘাটতি অনেকটা পূরণ হয়ে যাবে। গর্ভকালীন এই সময়ে কলা খেলে স্নায়ু ও মাংসপেশির কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। এমন কি শরীরের রোগ প্রতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই কলা অনেক বেশি সাহায্য করে।

পেয়ারাঃ

বর্তমানে পেয়ারার খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা। তাই আপনি বাজার থেকে সুস্বাদু পেয়ারা গুলো কিনে এনে খেতে পারেন। এ পেয়ারা সারা বছরই পাওয়া যায়। আর এই পেয়ারা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা গর্ভের সন্তানের বিকাশে অনেকটা সাহায্য করে থাকে। তাই প্রতিদিন আপনি একটি করে পেয়ারা খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়।

কমলাঃ

গর্ভকালীন সময়ে অবশ্যই ফলিক এসিড সম্মিলিত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এর মধ্যে কমলাতে রয়েছে ফাইবার আর ফলিক অ্যাসিড। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ কমলা খেলে ভ্রূণের মস্তিষ্ক আর মেরুদণ্ড গঠনে অনেক বেশি সাহায্য করে।

কিউইঃ

এই ফল সম্পর্কে হয়তো আমরা অনেকেই পরিচিত আবার অপরিচিত। তবে এ ফল আপনারা বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। এই ফলে বিদ্যমান ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন সি ও ই, ক্যারোটেনয়েডস এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস। যা হার্টের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও এই ফলগুলো ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

আপেলঃ

গর্ভকালীন এই সময়ে একটি করে প্রতিদিন কমলা খেলে এলার্জি হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশ কমে যায়। এই আপেলে আয়রন সমৃদ্ধ থাকে। এমনকি আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে দেয় এই আপেল। তাই চেষ্টা করেন প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার। অবশ্যই এই আপেল খেলে অনেক উপকার পাবেন।

৩ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

গর্ভকালীন তিন মাস হচ্ছে গর্ভধারণের ৯ থেকে ১২ সপ্তাহ। প্রথম এক থেকে তিন মাস কিছুটা লক্ষণীয় বা গুরুতর না হলেও প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের জন্য ৩ থেকে ৯ মাস পর্যন্ত অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে সকালের বিভিন্ন অসুস্থতা লক্ষণীয় হয়, ক্লান্তি ভাব এবং মেজাজের অনেকটা পরিবর্তন হয়। তো এ সময় বিভিন্ন দিক গর্ভবতী মায়ের খেয়াল রাখতে হয়। বিশেষ করে খাবার তালিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এই গর্ভকালীন তিন মাস সময় আপনি ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন। উল্লেখিত মাংস, হাঁস, মুরগি, সাইট্রাস ফল, সয়াবিন, বাদাম, বীজ ও অ্যাভোকাডো প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখতে পারেন। এমনকি এই সময়ে ফলের খাবার হিসেবে অ্যাভোকাডো, ডালিম, কলা, পেয়ারা, কমলা, আপেল, স্ট্রবেরি খাওয়াতে পারেন।

এছাড়া প্রতিদিন শাকসবজি এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। দুধ,ডিম এবং মাছ খাওয়াতে হবে। অর্থাৎ চর্বিযুক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, কড লিভার ওয়েল তিন মাসের গর্ভকালীন মায়েদের খাবার তালিকা রাখতে পারেন। আশা করা যায় এসব খাবারের তালিকা গুলো জেনে নিয়ে বেশ সতর্কতার সাথে সাথে পালন করবেন।

৫ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

গর্ভধারণের পঞ্চম মাস হচ্ছে ১৭ থেকে ২০ সপ্তাহ। এ সময় গর্ভধারিনী মায়েদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করা উচিত। তবে খাবারগুলো অবশ্যই সুষম খাদ্য এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে এই সময়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডাল, সিরিয়াল, বীজ, বাদাম, ছোলা, পনির, টোফু রাখতে হবে ইত্যাদি খাবার তালিকায় রাখতে হবে।

এছাড়াও গোটা শস্য বা হোল গ্রেইন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে পারেন বা খেতে পারেন। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ও উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার,সালাদ এবং ফলমূল ইত্যাদি খেতে পারেন। তাই গর্ভধারণের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গর্ভবতী মায়ের অনেকটা যত্ন নিতে হবে এবং খাওয়ার দাওয়ারব্যাপারে বেশ সতর্ক থাকতে হবে।

৭ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

বিভিন্ন ডাক্তারগন গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ৭ মাস বয়সে স্বাভাবিকভাবে 450 ক্যালোরি পর্যন্ত খাবার অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে বাড়তি অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন। এজন্য সাত মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকায় আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার তালিকা প্রতিদিন রাখতে পারেন। ইতিমধ্যে নিশ্চয়ই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন উপরের কয়েকটি প্যারাগ্রাফ থেকে।

এছাড়াও গর্ভবতী মায়েদের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অনেক বেশি জরুরী। উল্লিখিত ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গুলো হচ্ছে শালগম, বাধাঁকপি, শাকসবজি আরো ইত্যাদি খাবার। এমনকি ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার,ডি এইচ এ সমৃদ্ধ খাবার একজন গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকা রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই খাদ্য তালিকা নির্ভুল হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে চেষ্টা করবেন কোন কিছুই অতিরিক্ত পরিমাণ না খেতে।

৮ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

এই গর্ভাবস্থার আট মাস হচ্ছে গর্ভপাত হওয়ার শেষের দুই মাস। অর্থাৎ গর্ভাবস্থার ৮ মাস এবং নয় মাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় খাবার তালিকা অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত।

  • আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
  • ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
  • ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
  • ডি এইচ এ সমৃদ্ধ খাবার
  • ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
  • ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ইত্যাদি

গর্ভাবস্থায় ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করুন

এই ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার গুলোর উদাহরণ হচ্ছে টকজাতীয় বা সাইট্রাস ফল,মটরশুঁটি, মটর, মসুর ডাল, চাল এবং ফোর্টিফাইড সিরিয়াল জাতীয় খাবার। আর এই খাবারগুলো বাচ্চার প্রাথমিক ভ্রুণের বিকাশের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। আর ফলিক এসিড নিউরাল টিউব গঠনে সাহায্য করে। অতএব সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিশুর মস্তিষ্ক, মেরুদন্ড, এবং বড় কোনো জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করতে অনেকটা সাহায্য করে থাকে।

এছাড়া আপনার সন্তান নেওয়ার চেষ্টা শুরু করার পর থেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার তিন মাস পার হওয়া পর্যন্ত খুব গুরুত্বের সাথে আপনাকে দৈনিক ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড ট্যাবলেট খেতে হবে। এছাড়াও কিছু ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার যোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া ক্ষতিকর

অপুষ্টিহীন খাবার খাওয়ার কারণে গর্ভাবস্থায় নানা জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। যে কারণে একজন গর্ভবতী  প্রতি মায়ের হার্টের সমস্যা প্রয়োজনীয় দেখা দিতে পারে। এমনকি খাবার অনিয়ম এবং অন্যরকম খাবার খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের মতো রোগ দেখা দিতে পারে। আরেক গর্ভাবস্থায় এসব রোগ দেখা দিলে বাচ্চার জন্য অনেকটা ক্ষতি হতে পারে। অতএব চলুন নিচু কয়েকটি খাবারের নাম লেখা রয়েছে। সাধারণত এই খাবারগুলো থেকে প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের একটু দূরে থাকা উচিত।

  • মাখন
  • চকলেট
  • ভাজাপোড়া
  • ঘি-ডালডা
  • ক্রিম
  • চিপস
  • পুডিং
  • কোমল পানীয়
  • বিস্কুট
  • কেক
  • পেস্ট্রি
  • আইসক্রিম

গর্ভবতী মায়ের নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

প্রত্যেক মায়ের গর্ভবতী হওয়ার এই সময় গুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং সেনসিটিভ। একটু অনিম হলেই আপনার বাচ্চার জন্য মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই এই সময় প্রত্যেক মায়ের অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়া ব্যাপারে, কেননা খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হলে আপনার সহ আপনার আপনার বাচ্চার অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে। তাই জেনে রাখা উচিত কোন খাবারগুলি থেকে গর্ভবতী মায়ের দূরে থাকা উচিত।

যেমন গর্ভকালীন সময়ে প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের উচিত তেল এবং চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকা। বিশেষ করে তিনি যুক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয়। সব সময় চেষ্টা করবেন ভাজাপোড়া খাবার থেকে দূরে থাকা। কেন অতিরিক্ত বাজার করা খাবার খেলে আপনার গ্যাসের সমস্যা হতে পারে, অথবা ক্ষতিকর ফ্যাট আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ থাকতে পারে। তাই এসব খাবার থেকে দূরে থাকবেন। , আর ভাজাপোড়া পরোটা মিষ্টি ও কেক জাতীয় খাবার গুলিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকে তাই সর্বদা চেষ্টা করবেন এসব খাবার থেকে দূরে থাকার।

গর্ভাবস্থায় কি কি সবজি খাওয়া যাবে না

এই গর্ভাবস্থাযর সময় কিছু সবজি খাবার রয়েছে, যা এ সময় খাওয়া ঠিক নয়। হয়তো অনেকেই এই তথ্য সম্পর্কে জানেন না। আশা করতেছি এ সবজীর এই তথ্যটি আপনাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক খাবার রয়েছেন যারা আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি। কিন্তু কখনোই জানিনা এসব খাবার খেলে আমাদের শরীরে কি বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। তবে অবশ্যই সাধারণ মানুষের থেকে গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকায় বেশ সতর্ক থাকতে হবে।

উল্লিখিত গর্ভাবস্থায় কাঁচা শাকসবজি খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। এর কারণ হচ্ছে কাঁচা শাকসবজি গুলোতে বিভিন্ন ধরনের পরজীবী থাকতে পারে। যার গর্ভে থাকা বাচ্চার জন্য মারাত্মক ক্ষণটির কারণ হতে পারে। তাই যে কোন খাবার গরম করে ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করে খাবেন। এছাড়াও আনারস, পেয়ারা, শসা, আমড়া ইত্যাদি এইসব শাকসবজিজনিত বাইরের খাবারগুলো থেকে দূরে থাকা উচিত।

এছাড়াও শাকসবজির ভিতরে রয়েছে স্প্রাউট, লেটুস এবং বাঁধাকপির মতো না ধোয়া কাঁচা শাকসবজি যা গর্ভাবস্থায় সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে। এমনকি আমরা অনেকেই ফ্রিজে অনেকদিন পর্যন্ত শাকসবজি রেখে গ্রহণ করে থাকে। অতএব এই প্রক্রিয়া খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। এমনকি অতি পরিচিত করলাতে গ্লাইকোলাইসিস, সেপনিক, মারোডিসিন নামক ক্ষতিকর পদার্থ থাকে যা গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী এবং গর্ভজাত সন্তানের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আরো ইত্যাদি খাবার রয়েছে যা থেকে থেকে দূরে থাকা উচিত।

এমনকি সবজি হিসেবে পেঁপে, এলোভেরা,আধা সিদ্ধ ডিম,সজিনা,দোকান থেকে কেনা সালাদ

শেষ কথা

প্রতেক মায়েদের গর্ভাবস্থায় অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত। এজন্য খাবার তালিকায় বেশ মনোযোগ দেওয়া উচিত, তাই আজকে আপনাদের জন্য গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছি। আশা করছি এই পোস্ট থেকে আপনারা অনেক বেশি উপকৃত হয়েছেন।

আপনাদের কাছে যদি এই পোস্ট অনেক বেশি উপকৃত মনে হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনার আশেপাশের ব্যক্তিদেরকে এই পোস্ট শেয়ার করে জানিয়ে দিবেন। যাতে গর্ভাবস্থায় মায়েরা ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে পারে এবং নিষেধাজ্ঞা খাবারগুলো থেকে দূরে থাকতে পারে। ধন্যবাদ